اسم এর পরিচয় দাও। اسم (ইসম) কত প্রকার ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
- readaim.com
- 0
Go to Your Topic
Toggleاسم এর পরিচয় ও اسم কত প্রকার
اسم কত প্রকার এই বিষয়টি আলোচনা করার আগে আমাদের আলোচনা করা দরকার যে, اسم- কাকে বলে। তাই ইসম এর প্রকার ভেদের আগে আমরা ইসম এর প্রকার নিয়ে আলোচনা করতেছি-
اسم-এর পরিচয়:- اِسْمএর সঠিক অর্থ অনুধাবন করার জন্য اِسْم এর আভিধানিক ও পারিভাষিক সজ্ঞা উভয় ই আলোচনা করা হল-
اِسْم-এর আভিধানিক অর্থ:- আরবী ভাষায় اِسْم এর দুটি উৎপত্তি স্থল পাওয়া যায়।
১।وَسْمْ থেকে আসলে অর্থ হবে-
- ক)চিহ্ন।
- খ)নিদর্শন।
- গ)আলামত।{a) sign. b) Model. c) symptoms}
২।سُمًوْ থেকে আসলে অর্থ হবে-
- ক)মহান।
- খ)উঁচু হওয়া।
- গ)উচ্ছে স্থান পাওয়া।
- ঘ)প্রাধান্য বিস্তার করা।
اسم-এর পারিভাষিক সজ্ঞা:- যে সকল الكلمة/শব্দ দ্বারা কোন ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, স্থান, সময়, সংখ্যা, দোষ, গুণ, অবস্থা ও কোন কাজের নাম বোঝায় তাকে اسم বলা হয়।
যার অর্থ অন্য শব্দের সহোযোগিতা ছাড়া বুঝা যায়, সেই সাথে যা দ্বারা অতীত , বর্তমা ও ভবিষতকালে কোন কাজ করা বা হওয়া বোঝায় না, তাকে اسم/নাম বলা হয়।
যেসকল শব্দ দ্বারা কোন ব্যাক্তি, বস্তু, স্থান, কাল ও কোজের নাম বুঝাই, তাকে اسم বলে।
সহজ কথায়, কোন কিছুর নামকে اسم/বিশেষ্য বলা হয়।যেমন- বই-كتاب, ডিম-بيضة,জল-الماء,ধোঁয়া-الدخان,আগুন-النار,বায়ু-هواء,গ্যাস-غاز, অক্সিজেন-الأكسجين ইত্যাদি।
আরবী ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী الْاِسْم(Noun)/নামবাচক বিশেষ্য প্রথমত দুই প্রকার। যথা-
- ১.اَلْاِسْم الْمُتَصَرِّفْ/রূপান্তরযোগ্য বিশেষ্য।
- ২.اَلْاِسْمُ غَيْرُ الْمُتَصَرِّفْ /অরূপান্তরযোগ্য বিশেষ্য।
যে সকল اسم একবচন, দ্বিবচন ও বহুবচনে পরিবর্তিত হতে পারে তাহাকে, اَلْاِسْم الْمُتَصَرِّفْ/অরূপান্তরযোগ্য বিশেষ্য বলা হয়। যেমন- مَدِ يْنَةً- এক বচন।এর দ্বিবচন হলো- مَدِيْنَتَانِ- এর বহুবচন হলো-مُدُن.
اَلْاِسْم الْمُتَصَرِّفْ-আবার তিন প্রকার। যথা-
- ক)اَلْاِسْم الْجَامِدُ/মৌলিক বিশেষ্য।
- খ)اسم الْمَصْدَر/ক্রিয়ামূলক বিশেষ্য।
- গ)اسم الْمُشتَق/নির্গত বিশেষ্য।
ক)اَلْاِسْم الْجَامِدُ/মৌলিক বিশেষ্য:-
اَلْاِسْم الْجَامِدُঐ জতীয় اسم কে বলা হয় যা অন্য কোন শব্দ হতে গঠিত হয় না।আর তা থেকেও কোন শব্দ গঠন করা হয় না।যেমন-درهم – زيد – رجل ইত্যাদি।
খ)اسم الْمَصْدَر/ক্রিয়ামূলক বিশেষ্য:-
যে সকল اسم দ্বারা কোন কাজ করা বা হওয়া বুঝায়, কিন্তু অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কালের সাথে কোন সম্পর্ক রাখে না।সাধারণত তা থেকে فعل বা ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে اسم الْمَصْدَر বলে।যেমন-الضرب-প্রহার করা।এখানে শুধু প্রহার করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু কোন সময়ে কালে প্রহার করা হয়েছে তা বুঝা যায় না। একইভোবে النصر-সাহায্য করা, الكتاب- লিখা, الاكرام-সম্মান করা, اكل-খাওয়া, قراءة-পড়া ইত্যাদি।
গ)اسم الْمُشتَق/নির্গত বিশেষ্য:-
اسم(ইসম)فعل/ক্রিয়ামূল বা মাছদার থেকে গঠিত হয়ে রূপান্তরিত হলে তাকে, اسم الْمُشتَق বলা হয়।যেমন-كاتب ও ناصر মূলত الكتابة ও النصرة শব্দমূল থেকে গঠিত হয়েছে।
i. اسم الفاعل-কর্তা বা কর্তৃকারক বিশেষ্য।
ii. اسم المفعول-কর্মকারক বিশেষ্য।
iii. اسم التفضيل-তুলনবাচক বিশেষ্য।
iv. اسم الة-করণ কারক বা ক্রিয়ার যন্ত্র বিষয়ক বিশেষ্য।
v. اسم المبالغة-আধিক্যের অর্থ দানকারী বিশেষ্য।
vi. اسم اظرف-কাল বা সময় বাচক বিশেষ্য।
vii. اسم الصفة المشبهة-স্থায়ী গুণবাচক বিশেষ্য।
যে সকল اسم রূপান্তর লাভ করে না, বরং সর্বদা একই অবস্থায় অপরিবর্তিত হয়ে থাকে, সেই সব اسم কে اَلْاِسْمُ غَيْرُ الْمُتَصَرِّفْ বলা হয়।যেমন- ماَ – مَنْ – مَتى – كَمْ – كَيْفَ ইত্যাদি।
اسم এর উপরিউক্ত প্রকারভেদ ছাড়াও আরও কিছু প্রকারভেদ আছে- যা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হয়েছে। اسم বিস্তারিত জানার জন্য Arabic Grammar পেজে প্রবেশ করুন এবং আপনার পছন্দের টপিকটি নির্বাচন করে ক্লিক করুন।