যতি চিহ্ন কাকে বলে? কয়টি ও কিকি? যতি চিহ্নের ব্যবহার দেওয়া হল।
- readaim.com
- 0
যতি চিহ্ন
ভাষাকে লিখে প্রকাশ করার জন্য আমরা বর্ণের ব্যবহার করেথাকি।ভাষাকে লিখিয়া প্রকাশ করার জন্য আমাদেরকে কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়। আর এই চিহ্নগুলোকে যতিচিহ্ন বলাহয়।মুখের কথাক লিখিয়া প্রকাম করার সময় কমবেশি থামা বোঝাতে যে চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে কিছু চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যতি চিহ্নকে, বিরাম চিহ্ন বা বিরতি চিহ্নও বলা হয়। আর সেই চিহ্নগুলো হলো—
১।দাড়ি( ।):-
একটি বাক্য যখন আমরা শেষ করব তখন দাড়ি চিহ্নটি ব্যবহার করতে হয়। দাড়ি চিহ্নকে একটি আলোচনার শেষে ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
আমরা বাংরাদেশে বাস করি।
আমরা মাঠে ফুটবল খেলি।
রুপা খুব সুন্দরী মেয়ে।
রুবি একজন রাগি মিয়ে।
২।কমা (,):-
বাক্যের মধ্যে সামান্য বিরতি নেওয়ার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে কমার ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন-
সে বলল যে, আজ স্কুল খোলা।
রহিম, কারিম, জামার ও কালাল তারা সকলেই ভাল ছাত্র।
তুমি যেই লেখাটা দেখছ, সেটা আমার নিজের হাতের লেখা।
আল্লা রাব্বুল আলামিন বলেছেন যে, নিশ্চই ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল এগুলো সব গৃহপালিত প্রাণী।
৩। সেমিকোলন (;):-
একই ধরনের বাক্যকে পাশাপাশি ব্যবহারের সময় এই চিহ্নকে ব্যবহার করা হয়। যেমন-
আমি জুস পছন্দ করি; আর সে আরসি পছন্দ করে।
যেকোন কিতাবের সমালোচনা করা সহজ; কিন্তু বই লেখা অত সহজ বিষয় নয়।
তিনি পড়েচে বিজ্ঞান; পেশা ব্যংকার; আর নেশা বই পড়া।
সে মাস্টার; একইসাথে একজন ইমাম।
সে মদ পছন্দ করে; আর আমি পানি।
৪।প্রশ্নচিহ্ন (?):-
সাধারণত কোন কিচু জানতে চাওয়ার জন্য এই চিহ্নটি ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
তুমি কোথা থেকে এসেছ?
তোমার নাম কি?
কোনটি তোমার কল?
কেমন আছ?
কোথায় যাও?
এটা কার ব্যাগ?
তুমি কোন রং পছন্দ কর?
৫।সিস্ময়চিহ্ন (!):-
দুঃখ, কষ্ট, ব্যাথা, আনন্দ ও হতাশা প্রকাশ করার জন্য যে চিহ্ন ব্যবহার করতে হয় তাকে বিস্ময় চিহ্ন বলা হয়। যেমন-
হায় আমার যদি একটা চাকরি থাকত!
হায় আমার কি কষ্ট!
হায় আমি পরীক্ষায় ফেল করেছি!
আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি!
আমি রুবিকে অনেক ভালবাসি!
আমি পরীক্ষায পাশ করেছি!
কি মজা আজ আমার জন্মদিন!
হুররে আমারা পিকনিকে যাব!
৬। হাইফেন (-):-
একই জাতীয় শব্দকে একত্রে লেখার সময় হাইফেন ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
সুখ-দুখ
লেখা-পড়া
কানা-কানি
ধর্ম-কর্ম
আকাম-কুকাম।
৭। ড্যাশ ( – ):-
সাধারণত দুটি বাক্যকে একত্রে লিখার জন্য বা দুটি বাক্যকে এক বাক্যে পরিণত করার কাজে এবং ব্যখ্যাযোগ্য বাক্যের আগ ও পবে ড্যাশ ব্যবহার হয়। যেমন-
বাংলাদেশ জয়লভ করেছে – বিজয়ের আনন্দে আমরা সবাই আনন্দিত!
সেই লোকটি – যিনি গতকাল এসেছিল – তিনি আমার দুলাভাই হয়।
নিম্নে এর সজ্ঞা প্রদান করাহ হল –
ব্যাকরণের আলোচনা প্রদান করা হল –
৮। কোলন (:):-
একটি বাক্যের প্রথম অংশের কোন উক্তিকে ঐ বাক্যে দ্বিতীয় অংশে ব্যখ্যা করার জন্য এই চিহ্নটি ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
ভাষার দুটি রূপ: মুখ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষা।
সভার সিদ্ধান্ত হলো: প্রতি সপ্তাহে সকল সদস্যকে ২০ টাকা করে চাদা দিতে হবে।
গগন অর্থ হল আকাশ: যেখানে চন্দ্র, সূর্য় ও তারকারাজি দেখা যায়।
৯। উদ্ধারচিহ্ন (‘-’), ( “-”):-
কোন একটি বাক্যে মধে কোন একটি নির্দিষ্ট কথাকে উদ্ধৃত করার জন্য দদ্ধারচিহ্নের ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
মাহা গ্রন্থ “আল কুরআন” আমাদের ধর্মীয় কিতাব।
মনিষিগণ বলেছেন যে, “মানুষ মরণশীল”।
‘সিরাজউদদৌলা’ একটি ঐতিহাসিক নাটক।
১০। বন্ধনীচিহ্ন (), {}, [] :-
বন্ধনী তিন প্রকার।যথা- প্রথম বন্ধনী (), দ্বিতীয় বন্ধনী {}, ও তৃতীয় বন্ধনী [] ।
১১। বিন্দু(.):- সাধারণত শব্দ সংক্ষেপ অথবা একের পর এক ক্রম নির্দেশক কাজে বিন্দু ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন-
ড.
ডা.
১., ২., ৩.
U.S.A
M.A
১২। ত্রিবিন্দু (…):-
বাক্যের কোন অংশকে বাদ দিতে চাইরে ত্রিবিন্দু ব্যবহৃত হয়। যেমন-
রগ করে সে আমাকে বললেন, তুমি একটা … ।
আলোচনা করতে গিয়ে তিনি অনেক কথা বললেন- যেমন তারা মানুষ ভাল না …. ।
১৩। বিকল্পচিহ্ন (/):-
বাক্যে একটি শব্দের ব্যাবহারের পরিবর্তে অন্য আর একটি শব্দের ব্যবহার অথবা, একটির পরিবর্তে আর একটির ব্যবহারের বিকল্পকে বিকল্পচিহ্ন বলা হয়। যেমন-
রহিম/করিম প্রখম হবে।
গ্রামার/ব্যাকরণ কি?