• Home
  • Class 0-12
  • Grammar
    • Bangla Grammar
    • English Grammar
    • Arabic Grammar
  • Computer
    • MS Word
  • Jobs Study
    • BCS
    • Bank
    • Primary
    • Govt. job
    • Nibandhon
    • Medical Admission
    • University Admission
    • Army/Police/BDR/Anchar
  • Jobs
  • News
    • Home
    • Class 0-12
    • Grammar
      • Bangla Grammar
      • English Grammar
      • Arabic Grammar
    • Computer
      • MS Word
    • Jobs Study
      • BCS
      • Bank
      • Primary
      • Govt. job
      • Nibandhon
      • Medical Admission
      • University Admission
      • Army/Police/BDR/Anchar
    • Jobs
    • News
  • mdreadaim@gmail.com
  • Read at Home
Login > Register
Read Aim
Read Aim
  • Home
  • Class 0-12
  • Grammar
    • Bangla Grammar
    • English Grammar
    • Arabic Grammar
  • Computer
    • MS Word
  • Jobs Study
    • BCS
    • Bank
    • Primary
    • Govt. job
    • Nibandhon
    • Medical Admission
    • University Admission
    • Army/Police/BDR/Anchar
  • Jobs
  • News
  • readaim.com
  • 0
ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতি কী ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতির নীতিমালা আলোচনা কর।

প্রশ্ন:- ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতি কী? ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতির নীতিমালা আলোচনা কর।

উত্তর::ভূমিকা: ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতি হলো সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং মৌলিক কৌশল, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা পরিবারকে তাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাকে নিজের সমস্যা মোকাবিলায় স্বাবলম্বী করে তোলা হয়। এটি শুধুমাত্র সমস্যা সমাধান নয়, বরং ব্যক্তির সার্বিক উন্নয়নের একটি প্রক্রিয়া।

ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতি -এর পরিচয়:-

শাব্দিক অর্থ: ব্যক্তি সমাজকর্মের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘Social Casework’। এখানে ‘Social’ অর্থ সামাজিক এবং ‘Casework’ অর্থ কোনো বিশেষ কেস বা ব্যক্তির সমস্যা নিয়ে কাজ করা। অর্থাৎ, এটি এমন একটি পদ্ধতি যা ব্যক্তিবিশেষের সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করে।

ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো সমাজকর্মের এমন একটি মৌলিক পদ্ধতি, যা একজন সমাজকর্মী একক ব্যক্তি বা পরিবারের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তির সমস্যা, চাহিদা এবং সীমাবদ্ধতাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর, তাদের ব্যক্তিগত শক্তি, সম্পদ এবং পরিবেশের সহায়তায় সমস্যার কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা হয়। এর প্রধান লক্ষ্য হলো ব্যক্তিটিকে এমনভাবে সহায়তা করা যাতে সে তার জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় এবং তার পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে।

উপরোক্ত তালিকার গবেষকদের মধ্যে থেকে যারা সমাজকর্মের ক্ষেত্রে সরাসরি সংজ্ঞা প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজনের সংজ্ঞা নিচে দেওয়া হলো। উপরে উল্লিখিত তালিকার ব্যক্তিরা সরাসরি ব্যক্তি সমাজকর্মের সংজ্ঞা প্রদান করেননি, তবে তাঁদের কাজ সামাজিক ও রাজনৈতিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সমাজকর্মের বিভিন্ন পন্ডিতের সংজ্ঞা নিচে দেওয়া হলো:

১। হেলেন হ্যারিস পার্লম্যান (Helen Harris Perlman): তিনি বলেন, “ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি, যার কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা রয়েছে এবং যে তা সমাধানে সহায়তা চায়, একজন সমাজকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে।” (Social Casework is a process used by certain human welfare agencies to help individuals cope more effectively with their problems of social functioning.)

২। মেরি রিচমন্ড (Mary Richmond): তিনি বলেন, “ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো এমন সব প্রক্রিয়ার সমষ্টি, যা সচেতনভাবে কোনো ব্যক্তিকে তার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে, ব্যক্তির সঙ্গে তার সামাজিক পরিবেশের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের মাধ্যমে।” (Social Casework is the art of doing different things for and with different people, with the aim of improving their relationships and adjustment to their social environment.)

৩। ফ্রান্সিস পোর্টার (Francis P. Ponder): তিনি বলেন, “ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো এক ধরনের ব্যক্তিগত সহায়তা, যা ব্যক্তি এবং তার সামাজিক পরিবেশের মধ্যে উন্নততর সমন্বয় সাধনে সহায়তা করে।” (Social Casework is an individualized type of help for individuals who are struggling to achieve a better relationship between themselves and their social environment.)

৪। আন্ডারসন (Anderson): তিনি বলেন, “ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যা ব্যক্তির সমস্যা সমাধানের জন্য তার সক্ষমতা ও সামাজিক পরিবেশের সম্পদকে একত্রিত করে।” (Social Casework is a scientific method of helping individuals to solve their problems by combining their capacity with the resources of the social environment.)

৫। ফ্লোরেন্স হ্যাল (Florence Hollis): তিনি বলেন, “ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক এবং আবেগিক সমর্থন, যা একজন ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।” (Social Casework is a method of helping individuals to achieve a more satisfactory adjustment in their lives by providing them with psychological, social, and emotional support.)

৬। আর. এম. ম্যাকআইভার (R. M. Maclver): তিনি বলেন, “ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো মানুষের সামাজিক সম্পর্ককে উন্নত করার একটি প্রক্রিয়া।” (Social Casework is a process of improving the social relationships of human beings.)

৭। এ. ই. ফিংক (A. E. Fink): তিনি বলেন, “ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো একজন ব্যক্তিকে তার সমস্যা থেকে মুক্ত করতে এবং তাকে তার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করার একটি প্রক্রিয়া।” (Social Casework is a process of helping individuals to free themselves from their problems and to adjust to their environment.)

ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো একটি পেশাগত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যা একজন সমাজকর্মীর মাধ্যমে একক ব্যক্তি বা পরিবারের মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করে তাদের অন্তর্নিহিত সক্ষমতা বৃদ্ধি করে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে, যাতে তারা নিজেদের জীবন এবং পরিবেশের সঙ্গে উন্নততর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।

ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতির নীতিমালাসমূহ:-

১। স্বতন্ত্রীকরণ: প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা এবং তার সমস্যা, আবেগ ও প্রয়োজনও স্বতন্ত্র। এই নীতি অনুসারে, সমাজকর্মীকে প্রতিটি সেবাগ্রহীতাকে তার নিজস্ব সত্তা হিসেবে দেখতে হবে এবং কোনো পূর্বনির্ধারিত ধারণা বা ছাঁচ ব্যবহার না করে তার সমস্যাকে স্বতন্ত্রভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও পরিস্থিতি ভিন্ন হওয়ায় তাদের প্রতি আচরণও ভিন্ন হতে হবে। একজন ভালো সমাজকর্মী কখনই একজন মানুষকে অন্য আরেকজনের সঙ্গে তুলনা করে না বা একই ধরনের সমস্যার জন্য একই সমাধান চাপিয়ে দেয় না। এই নীতিটির মূল উদ্দেশ্য হলো সেবাগ্রহীতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখা।

২। অর্থপূর্ণ আবেগ প্রকাশ: এই নীতিটি সেবাগ্রহীতাকে তার অনুভূতি ও আবেগ অবাধে প্রকাশ করার সুযোগ দেয়। সমাজকর্মীর কাজ হলো এমন একটি নিরাপদ ও আস্থাভাজন পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে সেবাগ্রহীতা কোনো ধরনের ভয় বা সংকোচ ছাড়াই তার মনের কথা খুলে বলতে পারে। এতে সে তার ভেতরে জমে থাকা মানসিক চাপ, হতাশা, রাগ বা দুঃখ প্রকাশ করতে পারে। সমাজকর্মী এই আবেগগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং কোনো প্রকার বিচার-বিবেচনা ছাড়াই তা গ্রহণ করেন। এটি সেবাগ্রহীতার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া।

৩। নিয়ন্ত্রিত আবেগ সম্পর্ক: এই নীতি অনুসারে, সমাজকর্মী ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে সম্পর্ক হবে পেশাগত ও উদ্দেশ্যমূলক। এখানে আবেগ থাকবে, তবে তা হবে নিয়ন্ত্রিত এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত। সমাজকর্মী সেবাগ্রহীতার প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও ব্যক্তিগত আবেগ বা পক্ষপাতের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। এই সম্পর্কটি সেবাগ্রহীতার সমস্যা সমাধানের দিকে ফোকাস করে এবং সমাজকর্মীর ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে। এটি সম্পর্কটিকে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামো দেয়, যা পেশাগত কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।

৪। গ্রহণযোগ্যতা: গ্রহণযোগ্যতা মানে হলো একজন ব্যক্তিকে তার বর্তমান অবস্থা, দোষ-ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা সহকারে পুরোপুরি মেনে নেওয়া। এই নীতিটি সমাজকর্মীকে তার ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, নৈতিকতা বা বিচার-বিবেচনা থেকে মুক্ত থাকতে উৎসাহিত করে। সমাজকর্মী সেবাগ্রহীতাকে কোনো প্রকার সমালোচনা বা তিরস্কার না করে তার পরিস্থিতিকে নিরপেক্ষভাবে বুঝতে চেষ্টা করেন। এই গ্রহণ করার মনোভাব সেবাগ্রহীতার মনে আস্থা তৈরি করে এবং তাকে সমাজকর্মীর সঙ্গে খোলামেলাভাবে মিশতে সাহায্য করে। গ্রহণযোগ্যতা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রথম ধাপ।

৫। অ-বিচারমূলক মনোভাব: একজন সমাজকর্মীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো কোনো ব্যক্তিকে বিচার না করা। এই নীতি অনুযায়ী, সমাজকর্মীকে অবশ্যই সেবাগ্রহীতার পরিস্থিতি বা আচরণ সম্পর্কে কোনো ধরনের নৈতিক বা ব্যক্তিগত রায় দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সমাজের প্রচলিত ধারণা, ধর্ম, সংস্কৃতি বা ব্যক্তিগত বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিরপেক্ষভাবে সমস্যাকে দেখতে হবে। সমাজকর্মীর কাজ হলো সেবাগ্রহীতাকে তার সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা, তাকে ভালো বা মন্দ হিসেবে বিচার করা নয়। এই মনোভাব সেবাগ্রহীতার আত্মসম্মান রক্ষা করে।

৬। সেবাগ্রহীতার স্ব-নিয়ন্ত্রণাধিকার: এই নীতিটি সেবাগ্রহীতার স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারকে সম্মান জানায়। সমাজকর্মী কেবল তার সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্য পথগুলো তুলে ধরবেন, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সেবাগ্রহীতারই। সমাজকর্মী এখানে একজন সহায়ক হিসেবে কাজ করেন, যিনি তথ্য ও পরামর্শ দেন, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন না। এই স্ব-নিয়ন্ত্রণাধিকার সেবাগ্রহীতাকে নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সাহায্য করে এবং তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। এটি ব্যক্তি সমাজকর্মের একটি মৌলিক নীতি।

৭। গোপনীয়তা: এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি যা সেবাগ্রহীতার ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। সমাজকর্মীর কাছে আসা সমস্ত তথ্য গোপন রাখা আবশ্যক। বিশেষ করে যখন কোনো তথ্য প্রকাশ করলে সেবাগ্রহীতার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, তখন এই নীতি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিছু বিশেষ পরিস্থিতি, যেমন- যখন কোনো ব্যক্তির জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে বা আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকে, তখনই কেবল গোপনীয়তার নীতি ভঙ্গ করা যেতে পারে। অন্যথায়, সমাজকর্মীকে অবশ্যই সব তথ্য গোপন রাখতে হবে।

৮। উন্নয়ন ও বিকাশে সহায়তা: ব্যক্তি সমাজকর্মের লক্ষ্য হলো শুধু সমস্যা সমাধান করা নয়, বরং সেবাগ্রহীতাকে এমনভাবে শক্তিশালী করা যাতে সে ভবিষ্যতে নিজেই তার সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে। এই নীতি অনুযায়ী, সমাজকর্মী সেবাগ্রহীতাকে নতুন দক্ষতা অর্জন, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং তার সুপ্ত ক্ষমতা বিকাশে সাহায্য করে। সমাজকর্মী তাকে বিভিন্ন সামাজিক সম্পদ এবং সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে যুক্ত করে দেন, যা তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হয়। এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি এবং টেকসই সমাধানের পথ খুলে দেয়।

৯। সেবাগ্রহীতার ক্ষমতা বৃদ্ধি: এই নীতিটি সেবাগ্রহীতাকে নিজের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার উপর জোর দেয়। সমাজকর্মী সেবাগ্রহীতার বিদ্যমান শক্তি, সামর্থ্য এবং ইতিবাচক দিকগুলো চিহ্নিত করেন এবং সেগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য উৎসাহিত করেন। এর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতা নিজেকে আরও শক্তিশালী এবং সক্ষম মনে করে। এই নীতিটি শুধুমাত্র সেবা প্রদানের পরিবর্তে সেবাগ্রহীতাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করে, যা তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা বাড়িয়ে তোলে।

১০। সম্পদের ব্যবহার: একজন ব্যক্তি সমাজকর্মীর অন্যতম প্রধান কাজ হলো সেবাগ্রহীতাকে তার চারপাশের বিভিন্ন সামাজিক সম্পদ, যেমন- সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা, আর্থিক সহায়তা, কর্মসংস্থান বা শিক্ষামূলক সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত করা এবং সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া। এই নীতিটি নিশ্চিত করে যে সেবাগ্রহীতা শুধু ব্যক্তিগত পরামর্শই পাবে না, বরং তার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় বাহ্যিক সাহায্যও পাবে। এটি একটি সমন্বিত পদ্ধতির অংশ, যা সমস্যার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে এবং একটি সামগ্রিক সমাধান প্রদান করে।

১১। সামাজিক মিথস্ক্রিয়া: এই নীতিটি সেবাগ্রহীতাকে তার সামাজিক পরিবেশে আরও কার্যকরভাবে মিশতে সাহায্য করে। সমাজকর্মী সেবাগ্রহীতাকে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার কৌশল শেখান। এটি বোঝায় যে একজন ব্যক্তির সমস্যা শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং তার সামাজিক পরিবেশের সঙ্গেও জড়িত। একজন ব্যক্তির সামাজিক সম্পর্ক যত মজবুত হয়, তার মানসিক স্থিতিশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা তত বৃদ্ধি পায়। এই মিথস্ক্রিয়া ব্যক্তির সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

১২। প্রযুক্তি ও আধুনিকতা: আধুনিক যুগে ব্যক্তি সমাজকর্মের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নীতি অনুসারে, সমাজকর্মীকে নতুন প্রযুক্তি, যেমন- অনলাইন পরামর্শ, ডেটা ম্যানেজমেন্ট বা ডিজিটাল সম্পদ ব্যবহার করে সেবাগ্রহীতার কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার সেবা প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ এবং সহজলভ্য করে তোলে। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সেবাগ্রহীতার গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।

১৩। পেশাগত উন্নয়ন: একজন সমাজকর্মীর জন্য ক্রমাগত শেখা এবং পেশাগতভাবে উন্নত হওয়া অপরিহার্য। এই নীতিটি সমাজকর্মীকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং পেশাগত আলোচনায় অংশ নিতে উৎসাহিত করে। সমাজকর্মের নতুন কৌশল, তত্ত্ব এবং গবেষণা সম্পর্কে জ্ঞান রাখা জরুরি। এই ধারাবাহিক উন্নয়ন সমাজকর্মীর দক্ষতা বাড়াতে এবং সেবাগ্রহীতাকে আরও উন্নত সেবা প্রদানে সহায়তা করে। এটি পেশার মান বজায় রাখার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

১৪। সমস্যা সমাধানের জন্য দক্ষতা: ব্যক্তি সমাজকর্মের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো সেবাগ্রহীতার সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। এই নীতিটি নির্দেশ করে যে সমাজকর্মীর কাজ শুধু সমস্যার সমাধান করা নয়, বরং সেবাগ্রহীতাকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাতে সে ভবিষ্যতে নিজেই তার সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে পারে। সমাজকর্মী তাকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, বিকল্প উপায় চিহ্নিত করা এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৌশল শেখান। এটি সেবাগ্রহীতার স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ।

১৫। লক্ষ্য নির্ধারণ: ব্যক্তি সমাজকর্ম একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। এই নীতি অনুযায়ী, সমাজকর্মী ও সেবাগ্রহীতা যৌথভাবে কিছু বাস্তবসম্মত এবং পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। এই লক্ষ্যগুলো ছোট ছোট ধাপে বিভক্ত করা হয় যাতে সেগুলো অর্জন করা সহজ হয়। স্পষ্ট লক্ষ্য থাকলে প্রক্রিয়াটি আরও সুশৃঙ্খল হয় এবং অগ্রগতি মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়। লক্ষ্য নির্ধারণের এই প্রক্রিয়া সেবাগ্রহীতাকে তার উন্নতির পথে একটি স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়।

১৬। সক্রিয় অংশগ্রহণ: এই নীতিটি সেবাগ্রহীতাকে তার সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে উৎসাহিত করে। সমাজকর্মী কেবল পরামর্শদাতা বা সমাধান প্রদানকারী নন, বরং একজন সহায়ক, যিনি সেবাগ্রহীতাকে তার নিজের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিতে সাহায্য করেন। সেবাগ্রহীতার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সমাধানই কার্যকর হতে পারে না। এই নীতিটি সেবাগ্রহীতার ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এবং তাকে তার নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সাহায্য করে।

১৭। নমনীয়তা ও অভিযোজন: ব্যক্তি সমাজকর্মের প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট কোনো ছাঁচে আবদ্ধ থাকে না। এই নীতিটি সমাজকর্মীকে বিভিন্ন পরিস্থিতি এবং সেবাগ্রহীতার ব্যক্তিগত প্রয়োজনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে উৎসাহিত করে। প্রতিটি সেবাগ্রহীতার সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন কৌশল এবং দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন হতে পারে। তাই সমাজকর্মীকে নমনীয় হতে হবে এবং বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে সক্ষম হতে হবে। এটি প্রক্রিয়াটিকে আরও কার্যকর এবং সেবাগ্রহীতার জন্য উপযোগী করে তোলে।

উপসংহার:- ব্যক্তি সমাজকর্মের এই নীতিমালাগুলো হলো একটি শক্তিশালী পেশাগত কাঠামোর ভিত্তি। এই নীতিগুলো সমাজকর্মীকে নৈতিকভাবে পরিচালিত করে এবং সেবাগ্রহীতার মর্যাদা, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করে। এই নীতিগুলো অনুসরণের মাধ্যমে সমাজকর্মী একটি কার্যকর, সহানুভূতিশীল ও মানবিক সেবা প্রদান করতে পারেন, যা ব্যক্তির জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এবং তাকে স্বাবলম্বী করে তোলে।

একনজরে উত্তর দেখুন

💠 স্বতন্ত্রীকরণ 🧡 অর্থপূর্ণ আবেগ প্রকাশ 💜 নিয়ন্ত্রিত আবেগ সম্পর্ক ❤️ গ্রহণযোগ্যতা 💙 অ-বিচারমূলক মনোভাব 💚 সেবাগ্রহীতার স্ব-নিয়ন্ত্রণাধিকার 💛 গোপনীয়তা 💖 উন্নয়ন ও বিকাশে সহায়তা 🤎 সেবাগ্রহীতার ক্ষমতা বৃদ্ধি 🤍 সম্পদের ব্যবহার 🧡 সামাজিক মিথস্ক্রিয়া 💜 প্রযুক্তি ও আধুনিকতা 💖 পেশাগত উন্নয়ন 🤍 সমস্যা সমাধানের জন্য দক্ষতা ❤️ লক্ষ্য নির্ধারণ 💙 সক্রিয় অংশগ্রহণ 💚 নমনীয়তা ও অভিযোজন।

প্রশ্নটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১৯০০ সালের শুরুর দিকে ম্যারি রিখমন্ডের মতো সমাজকর্মীর হাত ধরে ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতি একটি পেশাগত রূপ নেয়। তিনি ১৯১৭ সালে তার বিখ্যাত বই “Social Diagnosis”-এ ব্যক্তি সমাজকর্মের তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেন, যা এই পদ্ধতির গবেষণামূলক দিককে তুলে ধরে। ১৯২০-এর দশকে ফ্রয়েডীয় মনোবিজ্ঞানের প্রভাব এই পদ্ধতিতে গভীর পরিবর্তন আনে, যেখানে ব্যক্তির মানসিক ও আবেগীয় দিকগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়। ১৯৬৫ সালে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০% সমাজকর্মী সরাসরি ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতিতে কাজ করছেন, যা এর ব্যাপকতাকে প্রমাণ করে। এই পদ্ধতিটি কেবল সমস্যার সমাধান নয়, বরং ব্যক্তির সার্বিক উন্নয়নে জোর দেয়।

Tags: ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতিব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতির নীতিমালা আলোচনা কর।
  • Previous সাজকর্ম পদ্ধতির সজ্ঞা দাও। ব্যক্তি সমাজকর্মের উপাদানসমূহ লিখ।
  • Next সমাজকর্মের বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
Read Aim

SUBSCRIBE


    JOB CIRCULAR

    • Media/Ads/Event Mngnt (145)
    • Medical/Pharmaceutical (123)
    • NGO/Organization (323)
    • Production/Operation (142)
    • Research/Consultancy (85)
    • Secretary/Receptionist (188)
    • Security/Support Service (99)
    • Others (59)

    LEARNING & EARNING

    • English Article
    • Bearded Dragon
    • Cats
    • Dogs
    • Guinea Pigs
    • Insurance
    • Lawyer
    • Rabbits
    • Earn Money Online
    • Others

    CATEGORIES

    • Computer (12)
    • DEGREE (4)
    • English Article (27)
    • GRAMMAR (138)
    • Health Tips (2)
    • Honours (987)
    • Jobs (16)
    • Jobs Study (33)
    • News (1158)
    • PDF BOOK (78)

    RECENT POST

    সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের গঠন লিখ।
    সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের গঠন লিখ।
    দ্বি-জাতি তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর।
    দ্বি-জাতি তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর।
    বাংলা নামের উৎপত্তি সম্পের্কে লেখ।
    বাংলা নামের উৎপত্তি সম্পের্কে লেখ।
    বাংলাদেশের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখ।
    বাংলাদেশের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখ।

    2025 All Rights Reserved readaim.com

    • Contact
    • About
    • Privacy
    • Blog
    • READ AIM