• Home
  • Class 0-12
  • Grammar
    • Bangla Grammar
    • English Grammar
    • Arabic Grammar
  • Computer
    • MS Word
  • Jobs Study
    • BCS
    • Bank
    • Primary
    • Govt. job
    • Nibandhon
    • Medical Admission
    • University Admission
    • Army/Police/BDR/Anchar
  • Jobs
  • News
    • Home
    • Class 0-12
    • Grammar
      • Bangla Grammar
      • English Grammar
      • Arabic Grammar
    • Computer
      • MS Word
    • Jobs Study
      • BCS
      • Bank
      • Primary
      • Govt. job
      • Nibandhon
      • Medical Admission
      • University Admission
      • Army/Police/BDR/Anchar
    • Jobs
    • News
  • mdreadaim@gmail.com
  • Read at Home
Login > Register
Read Aim
Read Aim
  • Home
  • Class 0-12
  • Grammar
    • Bangla Grammar
    • English Grammar
    • Arabic Grammar
  • Computer
    • MS Word
  • Jobs Study
    • BCS
    • Bank
    • Primary
    • Govt. job
    • Nibandhon
    • Medical Admission
    • University Admission
    • Army/Police/BDR/Anchar
  • Jobs
  • News
  • readaim.com
  • 0
কল্যাণ রাষ্ট্র কি কল্যাণ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।

প্রশ্ন:- কল্যাণ রাষ্ট্র কি? কল্যাণ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।

উত্তর::ভূমিকা: কল্যাণ রাষ্ট্র এমন একটি ধারণা যা আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি এমন এক ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থা যেখানে সরকার শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা প্রতিরক্ষা নয়, বরং তার নাগরিকদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। একটি কল্যাণ রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো সমাজের প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নত করা এবং বৈষম্য দূর করা।

কল্যাণ রাষ্ট্র - এর পরিচয়:-

শাব্দিক অর্থ: “কল্যাণ রাষ্ট্র” বা “Welfare State” শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো এমন এক রাষ্ট্র, যা জনগণের মঙ্গল বা কল্যাণ সাধনের জন্য কাজ করে।

কল্যাণ রাষ্ট্র এমন এক প্রকার রাষ্ট্র ব্যবস্থা যেখানে সরকার তার নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এটি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মসূচি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এতে নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বেকারত্ব ভাতা, পেনশন এবং অন্যান্য সামাজিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়। একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য হলো নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করা এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা নিচে দেওয়া হলো:

১। অগবার্ন (Ogburn) এবং নিমকফ (Nimkoff) এর মতে, কল্যাণ রাষ্ট্র হলো সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থা যেখানে সরকার তার নাগরিকদের জন্য মৌলিক অর্থনৈতিক চাহিদা এবং সামাজিক নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে। (A welfare state is a state system where the government assumes responsibility for the basic economic needs and social security of its citizens.)

২। এল.ডি. হোয়াইট (L.D. White) বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র হলো এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে সরকার তার নাগরিকদের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে। (A welfare state is a state where the government takes various programs and measures to ensure economic and social security for its citizens.)

৩। অধ্যাপক ফিফনার (P. Fiffner) এবং প্রেসথাস (Presthus) এর মতে, কল্যাণ রাষ্ট্র হলো জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের একটি রূপ। (A welfare state is a form of planned state intervention to improve the quality of life of the people.)

৪। ডি.ডি. ডিমক (Dimok) এবং জি. ও. ডিমক (Dimok) এর মতে, কল্যাণ রাষ্ট্র হলো সেই রাষ্ট্র, যা মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। (A welfare state is the state that operates economic and social activities to improve the quality of human life.)

৫। হ্যারল্ড জে. লাস্কি (Harold J. Laski) এর মতে, একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হলো এমন একটি সমাজ, যেখানে অর্থনৈতিক ক্ষমতা কিছু নির্দিষ্ট মানুষের হাতে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার মধ্যে বণ্টন করা হয়। (A welfare state is a society where economic power is not limited to a few specific people, but is distributed among all.)

৬। হ্যারমান হেলার (Hermann Heller) বলেছেন যে, একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হলো এমন রাষ্ট্র যা কেবল অধিকারই নিশ্চিত করে না, বরং নাগরিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণেরও চেষ্টা করে। (A welfare state is a state that not only guarantees rights but also strives to meet the social and economic needs of its citizens.)

৭। অক্সফোর্ড ডিকশনারি (Oxford Dictionary) অনুসারে, কল্যাণ রাষ্ট্র হলো এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা যেখানে সরকার তার নাগরিকদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, এবং সামাজিক নিরাপত্তার মতো মৌলিক সামাজিক সেবা প্রদান ও নিশ্চিত করে। (A welfare state is a system in which the government undertakes to protect the health and well-being of its citizens, especially those in financial or social need, by means of grants, pensions, and other benefits.)

উপরের সংজ্ঞাগুলোর আলোকে আমরা বলতে পারি, কল্যাণ রাষ্ট্র হলো এমন একটি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, যা শুধুমাত্র জনগণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা রক্ষা করে না, বরং তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্যও কাজ করে। এটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দারিদ্র্য, বেকারত্ব, রোগ এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

কল্যাণ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ:-

১। সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা: কল্যাণ রাষ্ট্র নাগরিকদের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বেকার ভাতা, বয়স্ক ভাতা, পেনশন সুবিধা, এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সহায়তা। এই ব্যবস্থাগুলো মানুষকে দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা করে, যাতে তারা সম্মানের সাথে জীবনযাপন করতে পারে। এর মূল লক্ষ্য হলো সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনকে উন্নত করা এবং তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। এই ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা সমাজে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

২। জনস্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা: কল্যাণ রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য সাশ্রয়ী ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। এর অধীনে হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো পরিচালিত হয়, যেখানে সকলে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পেতে পারে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায়, যা তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে। জনস্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা একটি সুস্থ ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হয়।

৩। শিক্ষার অধিকার ও সুযোগ: একটি কল্যাণ রাষ্ট্র সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, যা শিক্ষার অধিকারকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এটি শুধু সাক্ষরতার হার বাড়ায় না, বরং মানুষের মধ্যে জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করে, যা একটি উন্নত ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে অপরিহার্য। শিক্ষার এই সুযোগের ফলে অর্থনৈতিক বৈষম্য অনেকাংশে হ্রাস পায় এবং সমাজের প্রতিটি সদস্য তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পায়।

৪। আর্থিক বৈষম্য হ্রাস: কল্যাণ রাষ্ট্র বিভিন্ন নীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা, যেখানে উচ্চ আয়ের মানুষের উপর বেশি কর আরোপ করা হয়। সংগৃহীত এই অর্থ দরিদ্রদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পে ব্যয় করা হয়, যেমন খাদ্য সহায়তা, আবাসন এবং স্বাস্থ্যসেবা। এই ব্যবস্থা সমাজে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে, যা ধনী-গরীবের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করে এবং সমাজে একটি স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।

৫। কর্মসংস্থান সৃষ্টি: কল্যাণ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। সরকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করে, যা শিল্প ও বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করে এবং নতুন নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হয়। এছাড়া, বেকারদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচি চালু করা হয়, যাতে তারা কর্মসংস্থানের বাজারে নিজেদের উপযোগী করে তুলতে পারে। এটি বেকারত্বের হার কমানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

৬। আবাসন সুবিধা প্রদান: একটি কল্যাণ রাষ্ট্র সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করে। সরকার বিভিন্ন প্রকল্প যেমন স্বল্পমূল্যের ফ্ল্যাট নির্মাণ, গৃহ ঋণ এবং আবাসন ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। এর ফলে গরিব ও গৃহহীন মানুষও একটি নিরাপদ ও স্থায়ী বাসস্থান পায়। সুষ্ঠু আবাসন ব্যবস্থা নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে এবং তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

৭। শিশু কল্যাণ কর্মসূচি: কল্যাণ রাষ্ট্র শিশুদের সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, এবং শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রণয়ন। এই কর্মসূচিগুলো শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে এবং তাদের একটি সুন্দর শৈশব নিশ্চিত করে।

৮। নারী ও শিশু অধিকার: একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সরকার তাদের প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা ও বৈষম্য দূর করতে বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করে। এর ফলে নারী ও শিশুরা সমাজে নিজেদের পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ পায় এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে। এই ধরনের পদক্ষেপ একটি সুস্থ ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৯। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: কল্যাণ রাষ্ট্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এর মধ্যে রয়েছে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম এবং পুনর্বাসন কর্মসূচি। এটি দুর্যোগের সময় মানুষের জানমাল রক্ষা করে এবং তাদের দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

১০। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: কল্যাণ রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সরকার ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সরবরাহ, রেশন ব্যবস্থা, এবং দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণ করে। এর ফলে সমাজের কোনো মানুষ যেন অনাহারে না থাকে তা নিশ্চিত করা হয়। খাদ্য নিরাপত্তা একটি সুস্থ ও শক্তিশালী জাতির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

১১। প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা: কল্যাণ রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা, যেখানে আয়ের উপর ভিত্তি করে কর আরোপ করা হয়। এর মানে হলো, যাদের আয় বেশি, তাদের উপর করের হারও বেশি এবং যাদের আয় কম, তাদের উপর করের হার কম। এই ব্যবস্থাটি সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে, যা সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করে। সংগৃহীত এই অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।

১২। নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা: কল্যাণ রাষ্ট্র নাগরিকদের মৌলিক অধিকার যেমন বাক-স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকার এবং আইনের চোখে সমান অধিকার নিশ্চিত করে। এই অধিকারগুলো রাষ্ট্র কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে, যা জনগণের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ এবং তাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। এর ফলে জনগণ একটি সুস্থ ও স্বাধীন পরিবেশে তাদের জীবন পরিচালনা করতে পারে।

১৩। পরিবেশ সংরক্ষণ: কল্যাণ রাষ্ট্র পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকার পরিবেশ দূষণ রোধ, বনায়ন, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে উৎসাহ দেয়। এটি শুধু বর্তমান প্রজন্মের জন্যই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি স্বাস্থ্যকর ও টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করে। পরিবেশ সংরক্ষণ একটি উন্নত ও দায়িত্বশীল সমাজের প্রতিফলন।

১৪। সাংস্কৃতিক উন্নয়ন: কল্যাণ রাষ্ট্র নাগরিকদের সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বিনিয়োগ করে। সরকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান যেমন জাদুঘর, আর্ট গ্যালারি, এবং থিয়েটারকে সমর্থন করে। এটি সমাজের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করে এবং মানুষের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে। সাংস্কৃতিক উন্নয়ন একটি জাতির পরিচয় ও মূল্যবোধকে শক্তিশালী করে।

১৫। শ্রম অধিকার ও সুরক্ষা: কল্যাণ রাষ্ট্র শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করে। এর মধ্যে রয়েছে কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, ন্যায্য মজুরি, এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ। এই ব্যবস্থাগুলো শ্রমিকদের শোষণ থেকে রক্ষা করে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।

১৬। সুশাসন ও স্বচ্ছতা: একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে সুশাসন ও স্বচ্ছতা অপরিহার্য। সরকার তার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখে এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করে। এটি দুর্নীতি হ্রাস করে এবং জনগণের মধ্যে রাষ্ট্রের উপর আস্থা বৃদ্ধি করে। সুশাসন একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

১৭। বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ: কল্যাণ রাষ্ট্র অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। সরকার মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রাসংকট রোধ করতে বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে, যা নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতা রক্ষা করে। এর ফলে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা কমে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান স্থিতিশীল থাকে।

উপসংহার: কল্যাণ রাষ্ট্র শুধু একটি রাজনৈতিক ধারণা নয়, বরং একটি সামাজিক চুক্তি যা নাগরিকদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে। এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যেখানে কোনো মানুষই মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয় না। এই ধরনের রাষ্ট্র শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারকেও সমান গুরুত্ব দেয়। কল্যাণ রাষ্ট্র মানুষের জীবনকে উন্নত করে এবং একটি সুস্থ, সমৃদ্ধ, ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে।

একনজরে উত্তর দেখুন

কল্যাণ রাষ্ট্র হলো সেই রাষ্ট্র, যা তার নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে।

১। 🏠 সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ২। ⚕️ জনস্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা ৩। 📚 শিক্ষার অধিকার ও সুযোগ ৪। ⚖️ আর্থিক বৈষম্য হ্রাস ৫। 💼 কর্মসংস্থান সৃষ্টি ৬। 🏘️ আবাসন সুবিধা প্রদান ৭। 👶 শিশু কল্যাণ কর্মসূচি ৮। 👩‍👧 নারী ও শিশু অধিকার ৯। ⚠️ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ১০। 🥕 খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ১১। 💰 প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা ১২। 🛡️ নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা ১৩। 🌳 পরিবেশ সংরক্ষণ ১৪। 🎭 সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ১৫। 👷 শ্রম অধিকার ও সুরক্ষা ১৬। ✨ সুশাসন ও স্বচ্ছতা ১৭। 📈 বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ।

প্রশ্নটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণা প্রথম দিকে ১৯ শতকের শেষের দিকে জার্মানিতে বিসমার্কের অধীনে সামাজিক বীমা কর্মসূচির মাধ্যমে বিকশিত হয়। তবে এর আধুনিক রূপটি মূলত ১৯৪০-এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে জনপ্রিয়তা লাভ করে, বিশেষ করে ব্রিটেনে। ১৯৪২ সালে স্যার উইলিয়াম বিভারিজের “সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স অ্যান্ড অ্যালাইড সার্ভিসেস” শীর্ষক প্রতিবেদনটি (“বেভারেজ রিপোর্ট” নামে পরিচিত) ব্রিটিশ কল্যাণ রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করে। ১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) প্রতিষ্ঠা ছিল একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, যা সকলের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। সুইডেন, নরওয়ে এবং ডেনমার্কের মতো নর্ডিক দেশগুলো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সফল কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত, যেখানে উচ্চ করের বিনিময়ে ব্যাপক সামাজিক সুবিধা প্রদান করা হয়।

  • Previous শিল্প বিপ্লব কী? শিল্প বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট সমস্যাবলি আলোচনা কর।
  • Next সমাজকল্যাণের বিকাশে প্রধান প্রধান ধর্মের অবদান আলোচনা কর।
Read Aim

SUBSCRIBE


    JOB CIRCULAR

    • Media/Ads/Event Mngnt (145)
    • Medical/Pharmaceutical (123)
    • NGO/Organization (323)
    • Production/Operation (142)
    • Research/Consultancy (85)
    • Secretary/Receptionist (188)
    • Security/Support Service (99)
    • Others (59)

    LEARNING & EARNING

    • English Article
    • Bearded Dragon
    • Cats
    • Dogs
    • Guinea Pigs
    • Insurance
    • Lawyer
    • Rabbits
    • Earn Money Online
    • Others

    CATEGORIES

    • Computer (12)
    • English Article (27)
    • GRAMMAR (138)
    • Health Tips (2)
    • Honours (973)
    • Jobs (16)
    • Jobs Study (33)
    • News (1140)
    • PDF BOOK (78)

    RECENT POST

    চাহিদা ও ব্যায় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি ধারণাটি চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।
    চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যায় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি ধারণাটি চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।
    ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধিটি ব্যাখ্যা কর।
    ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধিটি ব্যাখ্যা কর।
    যোগান বিধির ব্যতিক্রম সমূহ কী?
    যোগান বিধির ব্যতিক্রম সমূহ কী?
    যোগান বিধি কাকে বলে? / যোগান বিধিটি ব্যাখ্যা কর।
    যোগান বিধি কাকে বলে? / যোগান বিধিটি ব্যাখ্যা কর।

    2025 All Rights Reserved readaim.com

    • Contact
    • About
    • Privacy
    • Blog
    • READ AIM