- readaim.com
- 0

উত্তর::উপস্থাপনা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি অত্যন্ত জটিল এবং বহু-স্তরীয়। সময়ের সাথে সাথে, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা, অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং সামাজিক আন্দোলন এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে। এই নিবন্ধে, আমরা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিয়ে আলোচনা করব যা মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে ক্রমশ শক্তিশালী করেছে।
১। অর্থনৈতিক সংকট: ১৯২৯ সালের মহামন্দার (Great Depression) মতো বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটগুলো কেন্দ্রীয় সরকারকে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করেছিল। এর ফলে, ফেডারেল সরকার বিভিন্ন নতুন প্রোগ্রাম ও নীতি গ্রহণ করে, যেমন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের ‘নিউ ডিল’ কর্মসূচি, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থিক নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এই ধরনের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকারগুলোর পক্ষে এককভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয় না, যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
২। বিশ্বযুদ্ধ ও সামরিক ব্যয়: প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে স্নায়ুযুদ্ধ (Cold War) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে নাটকীয়ভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই যুদ্ধগুলো পরিচালনার জন্য বিপুল পরিমাণ সামরিক ব্যয়, সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন এবং সামরিক বাহিনীকে সংগঠিত করার প্রয়োজন হয়েছিল। এর ফলে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সামরিক ব্যয় এবং বিদেশী নীতির গুরুত্ব বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও ছড়িয়ে পড়ে।
৩। আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ: সংবিধানের অধীনে কংগ্রেসের আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সময়ের সাথে সাথে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ের মাধ্যমে এই ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং এমনকি পরিবেশগত বিষয়ও নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো একটি রাজ্যের পণ্য অন্য রাজ্যে বিক্রি বা পরিবহনের ক্ষেত্রে ফেডারেল আইন প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে, রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব কিছুটা হ্রাস পায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পায়।
৪। জনগণের প্রত্যাশা বৃদ্ধি: সময়ের সাথে সাথে জনগণ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মেডিকেয়ার এবং মেডিকেড-এর মতো কর্মসূচিগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই ধরনের কর্মসূচিগুলো পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট এবং কর্মপরিধি উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণের এই চাপ কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও বেশি জনকল্যাণমূলক ভূমিকা পালন করতে বাধ্য করেছে।
৫। সংবিধানের নমনীয়তা: মার্কিন সংবিধানের কিছু ধারা, যেমন ‘প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত ধারা’ (Necessary and Proper Clause), কেন্দ্রীয় সরকারকে এমন আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়েছে যা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য অপরিহার্য। যদিও এই ধারাটি মূলত কংগ্রেসের ক্ষমতাকে সীমিত রাখার জন্য তৈরি হয়েছিল, সময়ের সাথে সাথে সুপ্রিম কোর্ট এর ব্যাখ্যা এমনভাবে দিয়েছে যে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হয়েছে। এটি কেন্দ্রকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য নমনীয়তা দিয়েছে, যেমন প্রযুক্তির পরিবর্তন এবং সামাজিক বিবর্তন।
৬। ফেডারেল কোর্টের ভূমিকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এবং অন্যান্য ফেডারেল আদালত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রায়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছে এবং প্রসারিত করেছে। যেমন, মার্বারি বনাম ম্যাডিসন মামলায় (Marbury v. Madison) সুপ্রিম কোর্ট বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার (Judicial Review) ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে। এর ফলে, ফেডারেল কোর্টগুলো আইন ও নীতি প্রণয়নে একটি বড় ভূমিকা রাখে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাবকে আরও দৃঢ় করে।
৭। নাগরিক অধিকার আন্দোলন: ১৯৬০-এর দশকে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারকে বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করতে হয়েছে। ১৯৬৪ সালের নাগরিক অধিকার আইন (Civil Rights Act) এবং ১৯৬৫ সালের ভোটাধিকার আইন (Voting Rights Act) এই আন্দোলনের ফল। এই আইনগুলো ফেডারেল সরকারকে রাজ্যগুলোর নীতি ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেয়, যা কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে।
৮। আবাসন ও নগর উন্নয়ন: বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে দ্রুত নগরায়ণ এবং আবাসন সংকট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প এবং নগর উন্নয়ন কর্মসূচি শুরু করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো HUD (Department of Housing and Urban Development) এর মতো প্রতিষ্ঠান। এই সংস্থাগুলো আবাসন ঋণ, নগর পুনর্গঠন এবং আবাসন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে, যা স্থানীয় ও রাজ্য সরকারের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়ায়।
৯। পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন: ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কেন্দ্রীয় সরকার পরিবেশ সুরক্ষা আইন (Environmental Protection Agency) প্রণয়ন করে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকার জল, বায়ু এবং ভূমি দূষণ রোধে আইন প্রয়োগের ক্ষমতা পায়। রাজ্য সরকারগুলো প্রায়শই পরিবেশ আইন প্রণয়নে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধির আরেকটি বড় কারণ।
১০। শিক্ষায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ: শিক্ষাকে ঐতিহ্যগতভাবে রাজ্য এবং স্থানীয় সরকারের বিষয় হিসেবে দেখা হলেও, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি ও অনুদানের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘নো চাইল্ড লেফট বিহাইন্ড অ্যাক্ট’ (No Child Left Behind Act) এর মতো আইন কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যের স্কুলগুলোর শিক্ষাগত মান নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে, যার মাধ্যমে শিক্ষানীতিতে কেন্দ্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১১। জাতীয় নিরাপত্তা: নাইন ইলেভেনের (9/11) সন্ত্রাসী হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক ক্ষমতা লাভ করে। এর ফলে, জন্ম হয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (Department of Homeland Security)। এই বিভাগ সন্ত্রাসবাদ দমন, সীমান্ত সুরক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক ক্ষমতা রাখে। এই ধরনের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
১২। আন্তঃরাজ্য পরিবহন ব্যবস্থা: সড়ক, রেল এবং বিমান পরিবহন ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৯৫৬ সালের ফেডারেল এইড হাইওয়ে অ্যাক্ট (Federal-Aid Highway Act) আন্তঃরাজ্য হাইওয়ে সিস্টেম নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়, যা দেশের অর্থনৈতিক একীকরণ এবং সামরিক চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই পরিবহন ব্যবস্থা দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পণ্য ও মানুষের চলাচল সহজ করে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।
১৩। বৈদেশিক নীতি ও কূটনীতি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি, আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং কূটনীতি সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে। রাজ্য সরকারগুলোর আন্তর্জাতিক বিষয়ে কোনো সরাসরি ভূমিকা নেই। স্নায়ুযুদ্ধ এবং বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক নীতির গুরুত্ব বাড়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাও সমানুপাতিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি একক কণ্ঠস্বর থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
১৪। ফেডারেল অনুদান এবং শর্ত: কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য রাজ্যগুলোকে ফেডারেল অনুদান (Federal Grants) প্রদান করে। এই অনুদানগুলো প্রায়শই কিছু শর্তের সঙ্গে আসে, যেমন: নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলা, যা রাজ্যগুলোর নীতি প্রণয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব বাড়ায়। এর ফলে, রাজ্যগুলো তাদের নিজস্ব নীতির পরিবর্তে ফেডারেল সরকারের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বাধ্য হয়।
১৫। প্রযুক্তিগত পরিবর্তন: ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের ফলে সাইবার নিরাপত্তা এবং ডেটা সুরক্ষা কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রধান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন এবং নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা প্রণয়ন করছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে আরও বিস্তৃত করছে।
১৬। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: হারিকেন, বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বড় ধরনের দুর্যোগের সময় কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA) এই ধরনের পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের দুর্যোগে রাজ্য সরকারগুলোর সীমিত সম্পদের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
১৭। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বেড়েছে। এই বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে এবং সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একক জাতীয় নীতি এবং আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমতা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করে, যা তার ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।
১৮। জনগণকে পরিষেবা প্রদান: সামাজিক নিরাপত্তা, মেডিকেয়ার, এবং বেকারত্ব সুবিধার মতো কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি সরাসরি জনগণের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেয়। এই ধরনের কর্মসূচিগুলো দেশের সকল নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করে এবং এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যায়। এই পরিষেবাগুলো প্রদানের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা এবং গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপসংহার: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি কোনো একক কারণের ফল নয়, বরং এটি বিভিন্ন ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রক্রিয়ার একটি সম্মিলিত ফলাফল। অর্থনৈতিক সংকট, বিশ্বযুদ্ধ, নাগরিক অধিকার আন্দোলন এবং প্রযুক্তির মতো বিভিন্ন কারণ এই প্রক্রিয়াকে গতিশীল করেছে। সময়ের সাথে সাথে জনগণের প্রত্যাশা বৃদ্ধি এবং জটিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার তার ক্ষমতাকে আরও দৃঢ় করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করবে।
১. 🟢 অর্থনৈতিক সংকট
২. 🔴 বিশ্বযুদ্ধ ও সামরিক ব্যয়
৩. 🔵 আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ
৪. 🟡 জনগণের প্রত্যাশা বৃদ্ধি
৫. 🟣 সংবিধানের নমনীয়তা
৬. 🟠 ফেডারেল কোর্টের ভূমিকা
৭. 🟢 নাগরিক অধিকার আন্দোলন
৮. 🔴 আবাসন ও নগর উন্নয়ন
৯. 🔵 পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন
১০. 🟡 শিক্ষায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ
১১. 🟣 জাতীয় নিরাপত্তা
১২. 🟠 আন্তঃরাজ্য পরিবহন ব্যবস্থা
১৩. 🟢 বৈদেশিক নীতি ও কূটনীতি
১৪. 🔴 ফেডারেল অনুদান এবং শর্ত
১৫. 🔵 প্রযুক্তিগত পরিবর্তন
১৬. 🟡 জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
১৭. 🟣 জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য
১৮. 🟠 জনগণকে পরিষেবা প্রদান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি উনিশ শতকের শেষভাগ থেকে শুরু হয়, যখন শিল্প বিপ্লবের ফলে একচেটিয়া ব্যবসা (monopolies) এবং শ্রমিক অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ফেডারেল সরকারকে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। এর একটি বড় উদাহরণ হলো ১৮৯০ সালের শেরম্যান অ্যান্টিট্রাস্ট অ্যাক্ট (Sherman Antitrust Act)। ১৯৩০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের ‘নিউ ডিল’ কর্মসূচি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে অভূতপূর্বভাবে বাড়িয়ে দেয়, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোর স্থায়ী পরিবর্তন ঘটায়। ১৯৬৫ সালের ভোটাধিকার আইন, যা জাতিগত বৈষম্য নিষিদ্ধ করে, কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যগুলোতে ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ক্ষমতা দেয়। ১৯৯০-এর দশকে ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে কেন্দ্রীয় সরকার সাইবার অপরাধ এবং ডেটা গোপনীয়তা নিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করে, যা তার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করে।