বর্ণ কাকে বলে? বর্ণমালা কত প্রকার ও কি কি?
- readaim.com
- 7
বাংলা বর্ণ এর সজ্ঞা:-
অ, আ, ই, ঈ, ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি বললে কোন অর্থ প্রকাশ পয় না।এগুলো চিণ্হ বা সংকেত মাত্র। কাওকে কোন কিছু লিখে বুঝাতে চাইলে কতকগুলো চিণ্হ দিয়ে লিখতে হয়। এই চিণ্হগুলোকে বর্ণ বলা হয়। বাংলা ভাষায় মোট ৫০টি বর্ণ আছে। এগুলিকে একত্রে বর্ণমালা বলা হয়।
বর্ণের প্রকারভেদ:-
বাংলা বর্ণ প্রথমত দুই প্রকার।যথা:-
১। স্বরবর্ণ।ও
২।ব্যাণ্জনবর্ণ।
১।স্বরবর্ণ:-
যে সককল বর্ণ অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়ায় উচ্চারণ করা যায় তাহাকেই স্বরবর্ণ বলা হয়। এধরণের বর্ণের সংখ্যা ১১টি। যথা:- অ, আ, ই, ঈ, এ, ঐ, ও, ঔ।উচ্চারণের তারতম্য ভেদে স্বরবর্ণকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
হ্রস্বস্বর-যেবর্ণগুলো উচ্চারণ করতে কম সময় লাগে হ্রস্বস্বরবর্ণ বলে।এইধরণের বর্ণের সংখ্যা মোট চারটি। যথা- অ, ই, উ, ঋ।
দীর্ঘস্বর:- যেস্বরবর্ণগুলো উচ্চারণ করতে দীর্ঘ সময় লাগে বা বেশি সময় লাগে তাহাকে দীর্ঘস্বরবর্ণ বলে।দীর্ঘ স্বরবর্ণ মোট ৭টি। যথা- আ, ঈ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ।
ব্যাণ্জনবর্ণ:-
যে বর্ণ স্বরবর্ণের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পরে না তাহাকে ব্যাণ্জনবর্ণ বলে। ব্যাণ্জনবর্ণ মোট ৩৯টি। যথা- খ, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়, ৎ, ং, ঃ, ঁ।
উচ্চারণভেদে ব্যাণ্জনবর্ণকে আবার কয়েকটিভাগে ভাগ করা যায়।যথা:-
১)ষ্পর্শবর্ণ:- ক হতে ম পর্যন্ত উচ্চারণ করতে জিহ্বা মুখের ভেতরের কোননা কোন অংশ স্পর্শ করে। স্পর্শবর্ণগুলো আবার পাঁচ ভাগে বিভক্ত।যথা:-
ক খ গ ঘ ঙ= ক-বর্গ।
চ ছ জ ঝ ঞ= চ-বর্গ।
ট ঠ ড ঢ ণ= ট-বর্গ।
ত থ দ ধ ন=ত-বর্গ।
প ফ ব ভ ম=প-বর্গ।
২)অল্পপ্রাণবর্ণ:- বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণ, অর্থাৎ ক, গ; চ, জ; ট, ড; ত, দ; প, ব উচ্চারণ করতে প্রাণশক্তি বা নিঃশ্বাসের জোর কম লাগে।এ কারণে এদেরকে অল্পপ্রাণবর্ণ বলে।
৩)মহাপ্রাণবর্ণ:- বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ অর্থাৎ খ, ঘ; ছ, ঝ; ঠ, ঢ; থ, ধ; ফ, ভ ইত্যাদি উচ্চারণ করতে প্রাণ শক্তি বা নিশ্বাসের জোর বেশি লাগে বলে এদেকে মহাপ্রাণবর্ণ বলা হয়।
৪)উষ্মবর্ণ:- শ, ষ, ষ, ঞ এ চারটি বর্ণের উচ্চারণ ধ্বনিকে যতক্ষণ শ্বাস থাকে, ততক্ষণ আমরা ধরে রাখতে পারি বলে এদেরকে উষ্ম বর্ণ বলা হয়।
৫) অন্তঃস্হ বর্ণ:- য, র, ল, ব এই চারটি বর্ণের উচ্চারণ স্হান স্পর্শ ও উষ্ম বর্ণের অন্তর্বর্তী বলে এদেরকে অন্তঃস্থ বর্ণ বলে।
৬) অনুনাসিক বর্ণ:- ঞ, ঙ, ণ, ন, ম এই পাঁচটি বর্ণকে নাকদিয়ে উচ্চারণ করতে হয় বলে অনুনাসিক বর্ণ বলে।
৭)অযোগবাহ বর্ণ:- ং এবংঃ এদুটি বর্ণকে অযোগবাহ বর্ণ বলে।
বাাংলা বর্ণ কি?
বর্ণ কি?
বর্ণ কাকে বলে?
বর্ণ বলতে কি বুঝ?
বর্ণ কাহাকে বলে?
বর্ণ কত প্রকার?
বর্ণ এর বিস্তারিত আলোচনা।
বর্ণ সজ্ঞা দাও?
বর্ণ বলতে কি বুঝ?
7 comments on “বর্ণ কাকে বলে? বর্ণমালা কত প্রকার ও কি কি?”