- readaim.com
- 0

ভূমিকা::উপস্থাপনা:- টি বি বটমোরের এই উক্তিটি সমাজবিজ্ঞানের আলোচনার কেন্দ্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে: সমাজবিজ্ঞানের সেই মূল ধারণা বা প্রত্যয়টি কী, যা এই শাস্ত্রের অধ্যয়নকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে? বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তবে বটমোরের এই সংক্ষিপ্ত অথচ গভীর উক্তিটি সমাজবিজ্ঞানের মৌলিক অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টি এবং এর আলোচনার পরিধিকে একসূত্রে গাঁথে। সমাজের অন্তর্নিহিত কাঠামো, মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সামাজিক পরিবর্তনের গতিধারা অনুধাবন করাই সমাজবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য, এবং এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কিছু কেন্দ্রীয় ধারণা অপরিহার্য।
‘‘সমাজবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় প্রত্যয়।’’ (টি বি বটোমর)- উক্তিটি ব্যাখ্যা:-
১. সামাজিক স্তরবিন্যাস: সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় হলো সামাজিক স্তরবিন্যাস। এর মাধ্যমে সমাজে বিভিন্ন গোষ্ঠী বা শ্রেণির মানুষের অসম অবস্থান ও সুযোগ-সুবিধা বিশ্লেষণ করা হয়। কার্ল মার্ক্স উনিশ শতকে সমাজের অর্থনৈতিক শ্রেণিবিন্যাসের উপর জোর দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, ম্যাক্স ওয়েবার ক্ষমতা, মর্যাদা ও সম্পত্তির ভিত্তিতে সামাজিক স্তরবিন্যাসের ধারণা দেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক স্তরবিন্যাস শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। যেমন, বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ধনী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগে বিস্তর ফারাক দেখা যায়।
২. সামাজিক শ্রেণী: সামাজিক শ্রেণী হলো সমাজের সেই অংশ, যারা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বা সম্পদের মালিকানার ভিত্তিতে একই ধরনের অবস্থানে থাকে। মার্ক্সের শ্রেণীসংগ্রামের তত্ত্ব অনুযায়ী, বুর্জোয়া ও সর্বহারা শ্রেণির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব সমাজের চালিকাশক্তি। তবে, আধুনিক সমাজবিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ভিত্তির বাইরে পেশা, শিক্ষা এবং সামাজিক মর্যাদার ভিত্তিতেও শ্রেণী বিভাজন করে থাকেন। পিউ রিসার্চ সেন্টারের ২০২২ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, উন্নত দেশগুলোতে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আকার ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে।
৩. সামাজিক ভূমিকা: প্রতিটি ব্যক্তি সমাজে তার অবস্থানের ভিত্তিতে কিছু নির্দিষ্ট আচরণবিধি ও প্রত্যাশার সাথে যুক্ত থাকে, যা তার সামাজিক ভূমিকা হিসেবে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষকের ভূমিকা জ্ঞান দান করা এবং শিক্ষার্থীদের পথপ্রদর্শন করা। এই ভূমিকাগুলি সমাজের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একই ব্যক্তি একাধিক ভূমিকা পালন করতে পারে এবং এই ভূমিকাগুলির মধ্যে সংঘাতও দেখা দিতে পারে।
৪. সামাজিক মূল্যবোধ: সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেইসব নীতি ও আদর্শ, যা একটি সমাজের মানুষ সাধারণভাবে সঠিক, desirable এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। এই মূল্যবোধগুলি মানুষের আচরণ ও সামাজিক রীতিনীতিকে প্রভাবিত করে। যেমন, সততা, ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতা বিভিন্ন সমাজে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হিসেবে বিবেচিত হয়। সময়ের সাথে সাথে এবং সংস্কৃতির ভিন্নতার কারণে সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
৫. সামাজিক প্রথা: সামাজিক প্রথা হলো সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আচার-আচরণ ও রীতিনীতি, যা মানুষ সাধারণত মেনে চলে। বিবাহ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সামাজিকGreeting-এর মতো বিষয়গুলি সামাজিক প্রথার অংশ। এই প্রথাগুলি সামাজিক সংহতি বজায় রাখতে এবং আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬. সামাজিক প্রতিষ্ঠান: সামাজিক প্রতিষ্ঠান হলো সমাজের সেই কাঠামো, যা কিছু নির্দিষ্ট সামাজিক চাহিদা পূরণের জন্য গঠিত হয়। পরিবার, শিক্ষা, ধর্ম, অর্থনীতি ও রাজনীতি হলো প্রধান সামাজিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মকানুন ও কার্যকারিতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পরিবার সন্তান প্রতিপালন ও সামাজিকীকরণে ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে শিক্ষা জ্ঞান বিতরণ ও দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করে।
৭. সামাজিকীকরণ: সামাজিকীকরণ হলো সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের নিয়মকানুন, মূল্যবোধ ও রীতিনীতি শেখে এবং সামাজিক জীবনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়। পরিবার, বিদ্যালয়, বন্ধু এবং গণমাধ্যম সামাজিকীকরণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। শৈশবে সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়া ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও আচরণ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৮. সামাজিক নিয়ন্ত্রণ: সমাজে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য যে প্রক্রিয়া ও কৌশল অবলম্বন করা হয়, তাকে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বলে। আইন, রীতিনীতি, জনমত এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা সামাজিক নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। সামাজিক নিয়ন্ত্রণের অভাব সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
৯. সামাজিক পরিবর্তন: সমাজ স্থির নয়, বরং এটি ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। সামাজিক পরিবর্তন হলো সমাজের কাঠামো, প্রতিষ্ঠান ও রীতিনীতির রূপান্তর। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সাংস্কৃতিক diffusion সামাজিক পরিবর্তনের প্রধান কারণ। উনিশ শতকের শিল্প বিপ্লব এবং একবিংশ শতাব্দীর তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লব সামাজিক পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
১০.সংস্কৃতি: সংস্কৃতি হলো একটি সমাজের মানুষের জীবনধারা, যার মধ্যে তাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ, রীতিনীতি, ভাষা, শিল্পকলা ও প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত। সংস্কৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে হস্তান্তরিত হয় এবং মানুষের আচরণকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি দেখা যায়।
১১.জাতিগোষ্ঠী ও জাতি: জাতিগোষ্ঠী হলো সেই গোষ্ঠী, যারা একটি সাধারণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পূর্বপুরুষের সূত্রে আবদ্ধ। অন্যদিকে, জাতি হলো একটি রাজনৈতিক ধারণা, যা একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী এবং একটি সাধারণ সরকার দ্বারা শাসিত জনগোষ্ঠীকে বোঝায়। জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং জাতিগত সংঘাত আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।
১২.ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব: ক্ষমতা হলো অন্যের ইচ্ছার বিরুদ্ধেও নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য। কর্তৃত্ব হলো সেই ক্ষমতা, যা আইনসঙ্গত ও স্বীকৃত। ম্যাক্স ওয়েবার তিন ধরনের কর্তৃত্বের কথা বলেছেন: ঐতিহ্যবাহী কর্তৃত্ব, ক্যারিশম্যাটিক কর্তৃত্ব ও যুক্তিসঙ্গত-বৈধ কর্তৃত্ব। রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১৩.বৈষম্য: বৈষম্য হলো সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ ও ক্ষমতার অসম বণ্টন। লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স ও ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে বৈষম্য দেখা যায়। বৈষম্য সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার পথে একটি বড় বাধা।
১৪.বিশ্বায়ন: বিশ্বায়ন হলো বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির মধ্যে ক্রমবর্ধমান আন্তঃসংযোগ ও নির্ভরশীলতা। প্রযুক্তি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বায়নের প্রভাব সুস্পষ্ট। এর ফলে একদিকে যেমন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি অন্যদিকে অসমতা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মতো সমস্যাও দেখা দিয়েছে।
১৫.নগরবাদ: নগরবাদ হলো শহুরে জীবনের বৈশিষ্ট্য ও সামাজিক প্রক্রিয়া। দ্রুত নগরায়ণের ফলে বাসস্থান, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। সমাজবিজ্ঞানীরা নগরের সামাজিক কাঠামো ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ধরণ নিয়ে গবেষণা করেন।
১৬.পরিবেশ ও সমাজ: পরিবেশের সাথে সমাজের সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাজতাত্ত্বিক আলোচনা। জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় সমাজের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। পরিবেশগত ন্যায়বিচার ও টেকসই উন্নয়ন আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
১৭.প্রযুক্তি ও সমাজ: প্রযুক্তির উন্নয়ন সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। যোগাযোগ, শিক্ষা, অর্থনীতি ও বিনোদনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রভাব অনস্বীকার্য। তবে, প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং ডিজিটাল বিভাজন নতুন সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
১৮.সামাজিক আন্দোলন: সামাজিক আন্দোলন হলো সমাজের বিদ্যমান অবস্থার পরিবর্তনে আগ্রহী জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রচেষ্টা। বিভিন্ন সামাজিক অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষ সংগঠিত হয়ে প্রতিবাদ করে এবং পরিবর্তনের দাবি জানায়। নারী আন্দোলন, পরিবেশ আন্দোলন ও মানবাধিকার আন্দোলন এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
১৯.অপরাধ ও deviance: সমাজের নিয়ম ভঙ্গকারী আচরণকে অপরাধ বা deviance বলা হয়। সমাজবিজ্ঞানীরা অপরাধের কারণ, ধরণ ও সমাজের উপর এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ তত্ত্ব, লেবেলিং তত্ত্ব এবং স্ট্রেইন তত্ত্ব অপরাধের ব্যাখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২০.স্বাস্থ্য ও সমাজ: স্বাস্থ্য কেবল জৈবিক বিষয় নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণ দ্বারাও প্রভাবিত হয়। স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, জীবনযাত্রার মান এবং সামাজিক সমর্থন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। চিকিৎসা সমাজবিজ্ঞান স্বাস্থ্য ও সমাজের আন্তঃসম্পর্কের বিশ্লেষণ করে।
২১.পরিবার ও বিবাহ: পরিবার হলো সমাজের মৌলিক একক এবং বিবাহ হলো সামাজিক ও আইনগতভাবে স্বীকৃত দুটি মানুষের বন্ধন। পরিবারের কাঠামো ও বিবাহের ধরণে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন এসেছে। একক পরিবার, সমলিঙ্গ বিবাহ এবং লিভ-ইন সম্পর্ক আধুনিক সমাজের বৈশিষ্ট্য।
২২.ধর্ম ও সমাজ: এমিল ডুর্খেইম দেখিয়েছেন, ধর্ম সামাজিক সংহতি বজায় রাখে। ২০২২ সালের পিউ রিসার্চ অনুসারে, বিশ্বের ৮৪% মানুষ কোনো না কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে।
উপসংহার:- টি বি বটমোরের উক্তিটি সমাজবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় প্রত্যয় অনুসন্ধানের তাৎপর্য তুলে ধরে। উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, সামাজিক স্তরবিন্যাস, শ্রেণী, ভূমিকা, মূল্যবোধ, প্রথা, প্রতিষ্ঠান, সামাজিকীকরণ, নিয়ন্ত্রণ, পরিবর্তন, সংস্কৃতি এবং অন্যান্য ধারণাগুলি সমাজবিজ্ঞানের মূল ভিত্তি স্থাপন করে। এই প্রত্যয়গুলির মাধ্যমেই সমাজ বিজ্ঞানীরা সমাজের অন্তর্নিহিত জটিলতা ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক অনুধাবন করার চেষ্টা করেন। সময়ের সাথে সাথে সমাজের পরিবর্তন ঘটলেও, এই কেন্দ্রীয় ধারণাগুলি সমাজ বিশ্লেষণের অপরিহার্য হাতিয়ার হিসেবে আজও গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় প্রত্যয় এর মূল বিষয়গুলি একনজরে দেখুন:-
একনজরে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহ: সামাজিক স্তরবিন্যাস, সামাজিক শ্রেণী, সামাজিক ভূমিকা, সামাজিক মূল্যবোধ, সামাজিক প্রথা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিকীকরণ, সামাজিক নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক পরিবর্তন, সংস্কৃতি, জনগোষ্ঠী ও জাতি, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব, বৈষম্য, বিশ্বায়ন, নগরবাদ, পরিবেশ ও সমাজ, প্রযুক্তি ও সমাজ, সামাজিক আন্দোলন, অপরাধ ও deviance, স্বাস্থ্য ও সমাজ, পরিবার ও বিবাহ।
সামাজবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় প্রত্যয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:-
১৯৫০-৬০ সালের দিকে টম বটোমর মার্কসীয় সমাজবিজ্ঞানকে পুনরুজ্জীবিত করেন। তাঁর বই Sociology: A Guide to Problems and Literature (১৯৬২) সমাজবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য মাইলফলক হয়ে আছে। ১৯৭৪ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সমাজবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি হন। ২০১৫ সালের ইউনেস্কো রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈশ্বিক অসমতা গবেষণায় বটোমরের অবদান এখনও প্রাসঙ্গিক। তাঁর কাজগুলি শ্রেণি, রাজনীতি ও নগরায়ণ নিয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।