কলিমাত (اَلْكَلِمَة) কাকে বলে? اَلْكَلِمَةُ কত প্রকার? বিস্তারিত আলোচনা কর।
- readaim.com
- 0
اَلْكَلِمَةُ-এর শাব্দিক অর্থ:- اَلْكَلِمَةُ আরবী শব্দ। اَلْكَلِمَةُ-এর আভিধানিন অর্থ হচ্ছে- কথা, বাণী, শব্দ, কয়েদা, কাসিদা-কবিতা।
اَلْكَلِمَةُশব্দটি মূলত كَلَم শব্দমূল হতে উদগত। اَلْكَلِمَةُশব্দঠি একবচন, বহুবচনে كَلَم-এর আভিধানিন আভিধানিক অর্থ হচ্ছে-
- ক)আঘাত করা
- খ) যখম করা
- গ)ক্ষত বিক্ষত করা
- ঘ)কথা দেওয়া।
اَلْكَلِمَةُ-এর পারিভাষিক অর্থ:- যেহেতু শব্দ দ্বারা অন্যের মনে আঘাত করা যায়, সেহেতু একে اَلْكَلِمَةُ বলা হয়। দুই বা ততোধিক বর্ণ পরস্পর মিলিত হয়ে যদি একটি অর্থ প্রকাশ করে, তাকে اَلْكَلِمَةُ বা শব্দ বলা হয়।যেমন- قلم- كتاب-غرفة – ذرسة(একটি কলম, একটি বই, একটি কক্ষ, একাটি কঘন্টা) ইত্যাদি।
اَلْكَلِمَةُ এর আরও কয়েকটি সজ্ঞা:-
*মনের ভাব প্রকাশের জন্য মানুষ অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টি উচ্চারণ করে।এই অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে اَلْكَلِمَةُ বা শব্দ বলে।
*এক বা একাধিক حرف বা অক্ষর একত্রিত হয়ে যদি কোন অর্থ প্রকাশ করে, তবে তাকে اَلْكَلِمَةُ বা শব্দ বলে।যেমন- যেমন-م +ل +ق = قَلَمٌ (কলম)।
*প্রত্যেকটি অর্থবোধক শব্দকে আরবী ভাষায় اَلْكَلِمَةُ বলে।
* اَلْكَلِمَةُবা শব্দটি একক অর্থবোধক হতে হবে।আর একক অর্থবোধক শেব্দের নাম হলো المفرد(মুফরাদ)।
*বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি অর্থপূর্ণ শব্দকে كَلِمَة বলে।যেমন- ذَهَبَ زَيْدٌ اِلَىْ الْمَدْرَسَةِ এই বাক্যের মধ্যে ذَهَبَ، زَيْدٌ، اِلَىْ، اَلْمَدْرَسَةِ প্রত্যেকটি এক একটি كَلِمَة ।
অতএব, যে শব্দ অন্যকোন শব্দের সাথে মিলিত না হয়ে একক ভাবে নিজ অর্থ প্রকাশ করতে পারে, তাকে المفرد বলে। আর المفرد/মুফরাদ এর অপর নামই হচ্ছে কালিমাত।
الكلمةবা শব্দ মোট ছয় প্রকার।যথা-
১. اسم(বিশেষ্য বা নামবাচক শব্দ):- কোন ব্যাক্তি, বাস্তু, স্থান, বা কালের নামকে اسم বলা হয়।যে শব্দ নিজেই নিজেন অর্থ প্রাকাশ করতে পারে, তাকে اسم বলে।যেমন:- خَالِدٌ (খালিদ)-একটি লোকের নাম, بَقَرَةٌ (গাভী) একটি প্রাণীর নাম, ذَهَبٌ (সোনা) একটি বস্তুর নাম, دَكَةٌ (ঢাকা) একটি শহরের নাম, صَالِحٌ (সৎলোক) একটি গুণের নাম ইত্যাদি।
উদাহরণ- كُرْسِىُّ-চেয়ার, شَمْسٌ -সূর্য, سَيَّارَةٌ -প্রাইভেট কার, فَرَسٌ -ঘোড়া, طَبَاشِرٌ -চক, مِمْسَحَاةٌ -ডাষ্টার, كَاتِبٌ-লেখক, منصور-সাহয্যপ্রাপ্ত, عليم -মহানজ্ঞানী ইত্যাদি।
২. فعل/ক্রিয়া:- যে শব্দ দ্বারা কোন কজের নাম নির্দেশ করা হয়, কাকে فعل বলা হয়।যেমন- نَصَرَ (সে সাহায্য করিল), اُكْتُبْ (তুমি লিখ), فَتَحْتُ (আমি খুলিলাম), لاَ تَذْهَبْ (তুমি যেওনা) ইত্যাদি।
- রনজু লিখে।
- كتب رانجو.
- রহিম স্কুলে যায়।
- رحيم يذهب إلى المدرسة.
৩. حرف/অব্যয়:- এখানে حرف বলতে কোন বর্ণকে বোঝানো হয় নি। حرف বলতে এমন কিছু শব্দকে বোঝানো হয়েছে, যে শব্দগুলি অন্য কোন শব্দের সামনে অথবা পিছনে বসে একটি অর্থ তৈরীকরে। حرف হচ্ছে ঐ সকল শব্দ যে সকর শব্দ নেজেই নিজের অর্থ প্রকাশ করতে পারে না।যেমন- اِلَىْ -দিকে, مِنْ -হতে, اَيْنَ -কোথায়, فِىْ -মধ্যে, عَلَىْ-Efl ইত্যাদি।
শুধু হতে বললে কি হতে সেটা অস্পষ্ট হচ্ছে।মনের মাঝে প্রশ্ন থেকেই যায়।যার কারনে তার অর্থটা সম্পূর্নরুপে প্রকাশ পায়নি।আর যদি এটা অন্য কোনো শব্দের সাথে মিলানো হয় তাহলে তার অর্থটা সম্পূর্ণ প্রকাশ পাবে, যেমনঃمن زيد অর্থ-যায়েদ হতে। এখানে من হরফ زيد এর সাথে মিলার কারণে তার অর্থ সম্পূর্ণরুপে প্রকাশ পায়।
- ১। إنَّ-হ্যা, সত্যই, বটে-إن زيدًا قائمٌ
- ২। أنَّ-হ্যা, সত্যই, বটে-سمعت أن زيدًا علمٌ
- ৩। كأنَّ-মনে হয়, যেন, মত-كأن زيدًا أسدٌ
- ৪। لكنَّ-কিন্তু, সুতরাং-غاب زيدٌ لكن بكرًا حاضرٌ
- ৫। ليت-যদি-ليت الشبابَ عائدٌ
- ৬। لعل -সম্ভবত, মনে হয়, হয়ত-لعلي السلطانَ يكرِمينِى
৪. ضمير/সর্বনাম:- আরবী ভাষায় কোন ব্যাক্তি বা নামের পরেবর্তে যে সকল সর্বনাম ব্যাবহার করা হয়, তাকে ضمير বলা হয়।উদাহরণ:- هُوَ عَالِمٌ، طَلَبُكَ زَيْدٌ ، قَتلُهُ بَكْرٌ، كِتَابُهُ، قَلَمُكَ
যমির বা সর্বনাম মোট ১৪টি।যথা-
i. هُوَ (হুয়া)-সে
ii. هُمَا (হুমা)-তারা ২ জন
iii. هُمْ (হুম)-তারা
iv. هِىَ (হিয়া)- সে (মহিলা)
v. هُمَا (হুমা)-তারা ২ জন (মহিলা)
vi. هُنَّ (হুন্না)-তারা (মহিলা)
vii. اَنْتَ (আনতা)- তুমি
viii. اَنْتُمَا (আনতুমা)-তোমরা ২ জন
ix. اَنْتُمْ (আনতুম)-তোমরা
x. اَنْتِ (আনতি)-তুমি (মহিলা)
xi. اَنْتُمَا (আনতুমা)-তোমরা ২জন (মহিলা)
xii. اَنْتُنَّ (আনতুন্না)-তোমরা (মহিলা)
xiii. اَنَا (আনা)-আমি
xiv. نَحْنُ (নাহনু)- আমরা
৫. صفت/গুণবাচক বিশেষ্য:- যে اسم বিশেষ্য দ্বারা কোন ব্যক্তি বা বস্তুর দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, বুঝায় তাকে صفة বলে।যেমন- عالم – জ্ঞানী, كبير – বড়, مودب– শিষ্ট, صبور – ধৈর্যশীল, زاهد – সাধু, مجتهد– পরিশ্রমী, حسين– সুন্দর, قبيح – কুৎসিৎ, جبان– ভীরু, قاتل – হত্যাকরী, كاذب– মিথ্যাবাদী, منافق – কপট, ظالم – অত্যাচারী, غنى,– ধনী ইত্যাদি।
৬. حال/অবস্থাবাচক বিশেষ্য:- যে শব্দ দ্বারা কোন ব্যাক্তির অবস্থা বর্ণনা করা হয় তাকে حال বলা হয়। আর যার অবস্থা বর্ণনা করা হয় তাকে ذوالحال বলে।যেমন- جاء كريم راكبًا على السيارة(করীম কারে চড়ে আসল) رأيت جاهدًا مجلوسا (আমি যাহিদকে বসা দেখতে পেলাম)।