আরবি বর্ণমালা (الحروف) কাকে বলে? কত প্রকার? কি কি? اَقْسَا مُ الْحُرُوْف
- readaim.com
- 0

حرف /বর্ণ/Letters:- ভাষার দুটি রূপ একটি মুখ্যভাষা ও অপরটি লেখ্যভাষা।আর তাই ভাষাকে লিখিয়া প্রাকাশ করিবার জন্য কতকগুলি সাংকেতিক চিহ্ন ব্যাবহার করতে হয়। আর এই সাংকেতিক চিহ্নকেই আরবী ভাষায় حرف (হরফ) বলা হয় আর বাংলায় বর্ণ বলা হয়। আরবি বর্ণমালা
মানুষ যখন তার মনের কথাগুলিকে লিখিয়া প্রকাশ করে তখন কিছু সংকেতিক চিহ্ন বা নিদর্শন ব্যাবহার করে থাকে ঐ চিহ্ন বা নির্শনগুলিকে حرف বলা হয়।
যেমন:-ا- ب- ت- ث- ج- ح- خ- د- ذ- ر- ز- ش- س- ص- ض- ط- ظ ع- غ এগুলি আরবী বর্ণ, সংকেত বা চিহ্ন। ج- ح- خ- د- ذ- رএগুলো বললে কোন অর্থ প্রকাশ পায় না।এগুলো চিহ্ন বা সংকেত মাত্র। কাওকে কোন কিছু লিখে বুঝাতে চাইলে কতকগুলো চিণ্হ দিয়ে লিখতে হয়। এই চিণ্হগুলোকে বর্ণ বলা হয়। আরবী ভাষায় মোট ২৯টি বর্ণ আছে। এগুলিকে একত্রে حرف বা বর্ণমালা বলা হয়।
আমারা জানি আরবী ভাষায় আলিফ থেকে ইয়া পরযন্ত মোট ২৯টি حرف বা রর্ণ আছে। এই حرف গুলিকে একত্রে Alphabeth বা الحروف(আল হলফ) বলা হয়। আরবী বর্ণমালা যথাক্রমে।
1. ا – আলিফ
2. ب – বা
3. ت – তা
4. ث – ছা
5. ج –জী-ম
6. ح – হা
7. خ – খ
8. د – দা-ল
9. ذ – যা-ল
10. ر – র
11. ز – যা
12. س – সী-ন
13. ش – শী-ন
14. ص – ছোয়া-দ
15. ض – দোয়া-দ
16. ط – ত্ব
17. ظ – জ
18. ع – আঈ-ন
19. غ – গাঈন
20. ف – ফা
21. ق – ক্ব-ফ
22. ك – কা-ফ
23. ل – লা-ম
24. م – মী-ম
25. ن – নূ-ন
26. و – ওয়া-ও
27. ه – হা
28. ء – হামযাহ্
29. ى – ইয়া
আরবী বর্ণমালায় প্রথমত حروف সমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।নিম্নে দুই প্রকার উল্লেখ পূর্বক এদের সজ্ঞা বস্তারিত আলোচনা করা হল।
- ১। حرف عللة স্বরবর্ণ(Vowel)।
- ২। حرف صحيح ব্যাঞ্জনবর্ণ(Consonant)।
১। حرف عللة স্বরবর্ণ:- যে সকল حرف বা বর্ণ অন্য কোন حرف বা বর্ণের সাহায্য ছাড়া নিজে নেজে উচ্চারিত হতে পারে তাহাকে حرف عللة(Vowel) বা স্বরবর্ণ বলা হয়।
حرف عللة(Vowel) বা স্বরবর্ণের সংখ্যা:- আরবী বর্ণমায়ায় স্বর বর্ণ বা حرف عللة(Vowel) এর সংখ্যা তিনটি (৩টি)। যথা-
- ا – আলিফ
- و – ওয়া-ও
- ى – ইয়া
আরবী গ্রামাররের বা ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী উপরের বর্ণগুলি (Vowel) নিজে নিজেই উচ্চারিত হতে পারে। অন্যান্য বর্ণগুলি (Consonant) নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে না।
২। حرف صحيح(Consonant) ব্যাঞ্জনবর্ণ:- যে সকল আরবী বর্ণমালা حرف عللة বা حركة-এর সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না, তাহাকে حرف صحيح(Consonant) বলা হয়। বাংলায় একে ব্যাঞ্জনবর্ণ বলা হয়।
حرف صحيح(Consonant) ব্যাঞ্জনবর্ণ-এর সংখ্যা:- আরবীতে حرف صحيح(Consonant) ব্যাঞ্জনবর্ণের সংখ্যা ২৫টি।যথা-
1. ب – বা
2. ت – তা
3. ث – ছা
4. ج –জী-ম
5. ح – হা
6. خ – খ
7. د – দা-ল
8. ذ – যা-ল
9. ر – র
10. ز – যা
11. س – সী-ন
12. ش – শী-ন
13. ص – ছোয়া-দ
14. ض-দোয়া-দ
15. ط – ত্ব
16. ظ – জ
17. ع – আঈ-ন
18. غ – গাঈন
19. ف – ফা
20. ق – ক্ব-ফ
21. ك – কা-ফ
22. ل – লা-ম
23. م – মী-ম
24. ن – নূ-ন
25. ه – হা
উচ্চারণের দিক থেকে আরবী বর্ণমালাকে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
- ১। الحروف شمسية.
- ২। الحروف اقمرية
১। الحروف شمسية:- যে বর্ণমালার পূর্বে আলিফ লা-ম যুক্ত করলে লামের উচ্চারণ হয় না। আলিফলাম উক্ত حرف এর উচ্চারণের মধে ডুকে যায় তাকে الحروف شمسية বলে।যার কারণে উক্ত حرف বা বর্ণগুলিকে তাশদীদ দিয়ে পড়তে হয়। একরূপ حرف মোট ১৪টি।যথা-
ت ث د ذ ر ز س ش ص ض ط ظ ل ن
উদাহরণ:- الليل- الحرف- الشمس ইত্যাদি।
২। الحروف القمرية:- যে সকল আরবী বর্ণমালার পূর্বে আলিফ ল-ম ব্যবহৃত হয়।আর উচ্চারণের সময় লামের উচ্চারণ পৃথকভাবে হয়ে থাকে, উক্ত حرف এর ঢুকে পড়ে না ও মিশে যায় না, তাদেরকেই الحروف القمرية বলা হয়। এরূপ حرف বা বর্ণ মোট ১৫টি।যথা-
ا ب ج ح خ ع غ ف ق ك م ه و ء ى
NB:- صو ت/ধ্বনি ও حرف/বর্ণের পার্থক্য:-ধ্বনি হলো বর্ণের উচ্চারিত রূপ। আর অপর পক্ষে বর্ণ হলো ধ্বনির লিখিত রূপ।