ভাষা কাকে বলে? রাষ্ট্রভাষা ও মাতৃভাষার সজ্ঞা বিস্তারিত আলোচনা।
- readaim.com
- 0
ভাষা কাকে বলে
ভাষার বিভিন্ন ধরনের সজ্ঞা:-
বিভিন্ন দেশের লোক বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে। অত এব্ পৃথিবীতে ভাষা অনেক ধরণের আছে। যেমন- আরবী, বাংল, ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, মালয়, মালাইলাম, ওয়েলাম, গুজরাটি, চায়নাভাষা, ফারসি ভাষা ইত্যাদি। পৃথিবীতে প্রায় ১২হাজার প্রজাতীর ভাষা আছে। নিম্নে এর বিস্তরিত আলোচনা কারা হল-
রাষ্ট্রভাষা
রাষ্ট্রভাষার সজ্ঞা:– রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাবহৃত কোন দেশের সংবিধান স্বীকৃত ভাষাকে ঐ দেশের রাষ্ট্রভাষা বলে। একটি দেশে বিভিন্ন জাতির বসবাস ও বিভিন্ন ভাষার ব্যাবহার থাকতে পারে। যেমন- আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতী বসবাস করে। তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিও আলাদা কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। আমাদের সংবিধানের প্রথন ভাগের তৃতীয় অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।
কোন কোন রাষ্ট্রে একের অধিক রাষ্ট্রভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আবার মাতৃভাষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকেও প্রধান্য দেওয়া হয়।যেমন: ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ইত্যাদি।
মাতৃভাষা
মাতৃষাভার সজ্ঞা:- আমারা বাংলাদেশে বাশ কারি্।আমাদের ভাষা বাংলা। আমরা বাংলাভাষায় কথা বলি। আমারা আমাদের ছোটকাল থেকে মায়ের কাছে শুনে শুনে যেভাষায় কথা বলি তাহাকেই মাতৃভাষা বলে।
আমারা মায়ের কাছে একেবারেই ছোট বেলায় প্রথম মায়েরকাছে বাংলাভাষা শিক্ষা লাভ করি। তাই বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। অবশ্য আমরা শুধু মায়ের কাছেই ভাষা শিখি না আমরা আমাদের বাবা, ভাই, বোন, নানা, খালা, চাচা, চাচি সহ অন্যান্য আত্নীয় স্বজনদের কাছ থেকেও ভাষা শিখে থাকি। তাহলে মাতৃভাষা বলতে শুধু মায়ের কাছ থেকে শেখা ভাষা বুঝালেও মূলত বাল্য কালে মানুষ যে ভাষায় কথা বলতে শিখে তাই মাতৃভাষা।তা যেখানেই শিক্ষালাভ করুকনা কেন।
প্রকারভেদ:-
বাংলাভাষার প্রকারভেদ:-
১। সাধুভাষা।ও
২। চলিতভাষা।
১। সাধুভাষা:-
যে ভাষায় বই বা সাহিত্য লেখা হয় তাকে সাধুভাষা বলে। প্রচীনকালে কবি ও সাহিত্যিকগণ এভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন। যেমন:- তুম কি খাইতেছ? আবার কখন খাইবে? আবার কখন যাইবে? ইত্যাদি।
২।চলিতভাষা:-
আমারা যেভাষায় এক অপরের সাথে কথা-বার্তা বলে থাকি তাহাকেই সাধারনত চলিতভাষা বলে।যেমন- আমি লিখেছি।আমি খেয়েছি। কোথায় যাচ্ছ। কোথা থেকে আসতেছ। কখন করবে। কখন যাবে। ইত্যাদি।
পরিসমাপ্তিতে আমরা বলতে পারি যে. ভাষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন: ‘মনের ভাব-প্রকাশের জন্য, বাগ-যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি দ্বারা নিষ্পন্ন, কোনো বিশেষ জনসমাজে ব্যবহূত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত, তথা বাক্যে প্রযুক্ত শব্দসমষ্টিকে ভাষা বলে