• Home
  • Class 0-12
  • Grammar
    • Bangla Grammar
    • English Grammar
    • Arabic Grammar
  • Computer
    • MS Word
  • Jobs Study
    • BCS
    • Bank
    • Primary
    • Govt. job
    • Nibandhon
    • Medical Admission
    • University Admission
    • Army/Police/BDR/Anchar
  • Jobs
  • News
    • Home
    • Class 0-12
    • Grammar
      • Bangla Grammar
      • English Grammar
      • Arabic Grammar
    • Computer
      • MS Word
    • Jobs Study
      • BCS
      • Bank
      • Primary
      • Govt. job
      • Nibandhon
      • Medical Admission
      • University Admission
      • Army/Police/BDR/Anchar
    • Jobs
    • News
  • mdreadaim@gmail.com
  • Read at Home
Login > Register
Read Aim
Read Aim
  • Home
  • Class 0-12
  • Grammar
    • Bangla Grammar
    • English Grammar
    • Arabic Grammar
  • Computer
    • MS Word
  • Jobs Study
    • BCS
    • Bank
    • Primary
    • Govt. job
    • Nibandhon
    • Medical Admission
    • University Admission
    • Army/Police/BDR/Anchar
  • Jobs
  • News
  • readaim.com
  • 0
তুমি কি মনে করো বাংলাদেশে সমাজকর্ম একটি পেশা? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে একটি যুক্তি দাও।

প্রশ্ন:- তুমি কি মনে করো বাংলাদেশে সমাজকর্ম একটি পেশা? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে একটি যুক্তি দাও।

উত্তর::ভূমিকা: সমাকর্ম বা সমাজকর্ম (Social Work) পেশাটি আধুনিক বিশ্বে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্বীকৃত ক্ষেত্র। এটি এমন একটি পেশা যেখানে মানবকল্যাণ, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করা হয়। বাংলাদেশেও এই পেশার গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক উন্নয়নে সমাজকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সমাজকর্ম কি সত্যিই একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং বর্তমান সমাজের চাহিদা বিবেচনা করা আবশ্যক।

তুমি কি মনে করো বাংলাদেশে সমাজকর্ম একটি পেশা? এই বিষয়ে আমার মাতামত:-

আমি মনে করি, বাংলাদেশে সমাকর্ম একটি পূর্ণাঙ্গ পেশা হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য সকল মাপকাঠি পূরণ করে। এটি কেবল একটি স্বেচ্ছাসেবী বা মানবিক কর্মকাণ্ড নয়, বরং এটি একটি সুসংগঠিত, বৈজ্ঞানিক এবং পেশাদারী ক্ষেত্র। একটি পেশা হিসেবে এর মূল ভিত্তি হলো নির্দিষ্ট জ্ঞান, দক্ষতা এবং নৈতিকতা। বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষার জন্য উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ডিগ্রি প্রদান করা হয়, যা এই পেশার ভিত্তি মজবুত করে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই সমাজকর্মীরা বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন, যেমন সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী, হাসপাতাল সমাজকর্মী, স্কুল সমাজকর্মী ইত্যাদি।

এই পেশার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে – মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং সমাজের দুর্বল ও বঞ্চিত গোষ্ঠীকে সহায়তা করা। এর জন্য প্রয়োজন হয় গভীর তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক দক্ষতা, যা কোনো সাধারণ কাজ থেকে একে আলাদা করে পেশার মর্যাদা দেয়। সমাজকর্মীদের একটি নির্দিষ্ট নৈতিক আচরণবিধি মেনে চলতে হয়, যা তাদের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এই সকল দিক বিবেচনা করলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বাংলাদেশে সমাজকর্ম একটি পেশা, যা দেশের সামাজিক উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশে সমাজকর্ম একটি পেশা, এর স্বপক্ষে যুক্তিগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:-

১। পেশাগত শিক্ষা: সমাজকর্ম একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃত কারণ এর জন্য নির্দিষ্ট ও বিশেষায়িত শিক্ষার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধীনে সমাজকর্ম বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এই শিক্ষা কারিকুলামে তত্ত্বীয় জ্ঞান যেমন সমাজতত্ত্ব, মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানোর জন্য ফিল্ড ওয়ার্ক বা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী সমাজকর্মী হিসেবে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা এবং নৈতিকতা অর্জন করে, যা পেশার ভিত্তি স্থাপন করে। এই সুসংগঠিত শিক্ষাব্যবস্থা সমাজকর্মকে একটি সাধারণ কাজ থেকে পেশার স্তরে উন্নীত করে।

২। সুনির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্র: সমাজকর্ম পেশার একটি সুনির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্র রয়েছে, যা এটিকে অন্যান্য পেশা থেকে আলাদা করে। বাংলাদেশে সমাজকর্মীরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর, যা দেশের বৃহত্তম সমাজকল্যাণমূলক সরকারি সংস্থা, সেখানে সমাজকর্মীদের জন্য বিভিন্ন পদ রয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও, যেমন ব্র্যাক, আশা, সেভ দ্য চিলড্রেন, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন ইত্যাদি সংস্থায় সমাজকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। হাসপাতাল, স্কুল, কারাগার, এবং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টেও তাদের চাহিদা রয়েছে। এই সুনির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্রগুলো প্রমাণ করে যে, এটি একটি স্বীকৃত এবং প্রতিষ্ঠিত পেশা।

৩। নৈতিক আচরণবিধি: অন্যান্য পেশার মতো, সমাজকর্মের একটি নির্দিষ্ট নৈতিক আচরণবিধি রয়েছে যা এই পেশাকে পরিচালিত করে। এই নৈতিকতা সমাজকর্মীদের কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা তাদের পেশাদারী দক্ষতা এবং সততাকে নিশ্চিত করে। একজন সমাজকর্মীকে ক্লায়েন্টের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হয়, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হয় এবং নিরপেক্ষভাবে সেবা প্রদান করতে হয়। এই আচরণবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক, যা তাদের কাজের নৈতিক ভিত্তি প্রদান করে। এই পেশার নৈতিকতা সমাজকর্মীদের দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং তাদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করে।

৪। সরকারি স্বীকৃতি: বাংলাদেশে সমাজকর্ম একটি সরকারিভাবে স্বীকৃত পেশা। ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা এই পেশার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করে। এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালিত হয় এবং এখানে সমাজকর্মীরা বিভিন্ন পদে সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এছাড়া, বিভিন্ন সরকারি চাকরি পরীক্ষায় সমাজকর্ম বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের জন্য নির্দিষ্ট সুযোগ থাকে। এই সরকারি স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ পেশা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

৫। পেশাগত দক্ষতা: সমাজকর্ম কেবল মানবিক গুণাবলীর উপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটি নির্দিষ্ট পেশাগত দক্ষতার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। একজন সমাজকর্মীকে সমস্যা সমাধান, যোগাযোগ, গবেষণা, এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার মতো বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হতে হয়। তাদের মানুষের সাথে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করার এবং তাদের সমস্যাগুলো গভীরভাবে বোঝার ক্ষমতা থাকতে হয়। এই দক্ষতাগুলো কেবল অভিজ্ঞতা দিয়ে অর্জিত হয় না, বরং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমেও অর্জিত হয়। এই দক্ষতাগুলো সমাজকর্মকে একটি সুসংহত এবং বৈজ্ঞানিক পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

৬। সামাজিক চাহিদা: আধুনিক সমাজে সামাজিক সমস্যার জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজকর্মীদের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, মাদকাসক্তি, পারিবারিক সহিংসতা, শিশুশ্রম, এবং বয়স্কদের সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তারা কেবল সমস্যাগুলোর সমাধান দেন না, বরং সমস্যাগুলোর মূল কারণ উদঘাটন করে টেকসই সমাধান প্রদানের চেষ্টা করেন। বিভিন্ন দুর্যোগ ও মানবিক সংকটে সমাজকর্মীরা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন। সমাজের এই চাহিদা প্রমাণ করে যে, সমাজকর্ম একটি অপরিহার্য পেশা, যা দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

৭। পেশাগত সংগঠন: বাংলাদেশে সমাজকর্ম পেশার উন্নতির জন্য বিভিন্ন পেশাদারী সংগঠন গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সমাজকর্মী সমিতি (Bangladesh Association of Social Workers) এই পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি, পেশাদারদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে। এই ধরনের সংগঠনগুলো পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে, পেশার মান উন্নত করতে এবং নতুন সমাজকর্মীদের জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করতে সহায়তা করে। এই সংগঠনগুলোর উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, সমাজকর্ম একটি পেশাদারী ভিত্তিযুক্ত ক্ষেত্র।

৮। গবেষণার সুযোগ: সমাজকর্ম পেশার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো গবেষণার সুযোগ। এই পেশার উন্নতির জন্য বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, কর্মসূচি এবং নীতি নিয়ে গবেষণা করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সমাজকর্মের উপর গবেষণা চলছে। এই গবেষণাগুলো নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে এবং কার্যকর হস্তক্ষেপ পদ্ধতি তৈরিতে সাহায্য করে। গবেষণা সমাজকর্মের পেশাদারী জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে এবং এর প্রয়োগিক দিককে শক্তিশালী করে।

৯। কর্মজীবনের ধারাবাহিকতা: অন্যান্য পেশার মতো, সমাজকর্ম পেশাতেও কর্মজীবনের ধারাবাহিকতা রয়েছে। একজন নতুন সমাজকর্মী তার কর্মজীবনে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং উচ্চতর পদে উন্নীত হতে পারে। যেমন, একজন সমাজকর্মী প্রথমে ফিল্ড ওয়ার্কার হিসেবে কাজ শুরু করে পরে সুপারভাইজার, ম্যানেজার বা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। এই কর্মজীবনের পথ অনুসরণ করে একজন সমাজকর্মী তার দক্ষতা এবং জ্ঞানকে আরও উন্নত করতে পারেন, যা পেশার স্থায়িত্ব ও আকর্ষণ বাড়ায়।

১০। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: সমাজকর্ম একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেশা। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ সোশ্যাল ওয়ার্কার্স (IFSW) এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ স্কুলস অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক (IASSW) এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী সমাজকর্ম পেশার মান এবং নৈতিকতা নিশ্চিত করতে কাজ করে। বাংলাদেশের সমাজকর্মীরাও এই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করেন। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের সমাজকর্ম পেশাও বিশ্বমানের এবং এটি একটি আন্তর্জাতিক পেশার অংশ।

১১। বিশেষায়িত ভূমিকা: সমাজকর্ম পেশার মধ্যে বিভিন্ন বিশেষায়িত ক্ষেত্র রয়েছে। যেমন, চিকিৎসা সমাজকর্ম, মানসিক স্বাস্থ্য সমাজকর্ম, শিশু ও পরিবার সমাজকর্ম, স্কুল সমাজকর্ম, এবং শিল্প সমাজকর্ম। একজন সমাজকর্মী তার আগ্রহ ও দক্ষতা অনুযায়ী যেকোনো একটি বিশেষায়িত ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন। এই বিশেষায়িত ক্ষেত্রগুলো প্রমাণ করে যে, সমাজকর্ম একটি ব্যাপক এবং গভীর পেশা যেখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে বিশেষ দক্ষতা ও জ্ঞান প্রয়োজন।

১২। আইনি কাঠামো: বাংলাদেশে সমাজকর্ম পেশার আইনি কাঠামো রয়েছে। বিভিন্ন আইন ও নীতি, যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সংক্রান্ত আইন, এই পেশার কর্মপরিধি নির্ধারণ করে। সমাজকর্মীরা এই আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে কাজ করেন এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। এই আইনি ভিত্তি পেশার স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।

১৩। পেশাদারী মর্যাদা: সমাজে সমাজকর্মীদের একটি বিশেষ পেশাদারী মর্যাদা রয়েছে। তারা মানুষের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করেন এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখেন। তাদের কাজকে সাধারণত মানবিক ও কল্যাণমূলক হিসেবে দেখা হয়। এই পেশাদারী মর্যাদা সমাজকর্মীদের কাজের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস বৃদ্ধি করে এবং তাদের পেশাগত জীবনকে আরও অর্থবহ করে তোলে।

১৪। নিরন্তর শিক্ষা: সমাজকর্ম পেশায় সফল হতে হলে নিরন্তর শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। একজন সমাজকর্মীকে নতুন সামাজিক সমস্যা এবং সমাধান পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হয়। বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা হালনাগাদ করেন। এই নিরন্তর শিক্ষার সংস্কৃতি প্রমাণ করে যে, সমাজকর্ম একটি গতিশীল এবং পেশাদারী ক্ষেত্র, যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।

১৫। দলগত কাজ: সমাজকর্ম পেশার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো দলগত কাজ। একজন সমাজকর্মী একা কাজ করেন না, বরং মনোবিজ্ঞানী, ডাক্তার, শিক্ষক, পুলিশ এবং অন্যান্য পেশাদারদের সাথে দলগতভাবে কাজ করেন। এই দলগত কাজের মাধ্যমে তারা একটি সমস্যার বহুমুখী সমাধান প্রদান করতে পারেন। এই দলগত সহযোগিতা পেশার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজের জটিল সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।

১৬। সক্রিয় ভূমিকা: সমাজকর্মীরা সমাজে কেবল সমস্যার সমাধান দেন না, বরং সামাজিক পরিবর্তনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তারা সামাজিক আন্দোলন, নীতি প্রণয়ন এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন। এই সক্রিয় ভূমিকা প্রমাণ করে যে, সমাজকর্ম একটি প্রগতিশীল পেশা, যা সমাজের উন্নয়নে অপরিহার্য।

১৭। জনগণের ক্ষমতায়ন: সমাজকর্ম পেশার মূল লক্ষ্য হলো জনগণের ক্ষমতায়ন। সমাজকর্মীরা মানুষকে নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করেন। এই ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। এই লক্ষ্যই সমাজকর্মকে একটি মর্যাদাপূর্ণ পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

উপসংহার: উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে সমাজকর্ম একটি সুসংহত, বৈজ্ঞানিক এবং গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এর নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা, সুনির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্র, নৈতিক আচরণবিধি, এবং সরকারি স্বীকৃতি রয়েছে। সমাজকর্মীরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা কেবল মানুষের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করেন না, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ক্ষমতায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সমাজকর্ম পেশার গুরুত্ব ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে, কারণ সমাজের জটিলতা বাড়ার সাথে সাথে এর সমাধান খুঁজতে সমাজকর্মীদের প্রয়োজন হবে। তাই, সমাজকর্মকে একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া কেবল এর মর্যাদা বৃদ্ধি করবে না, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকেও গতিশীল করবে।

একনজরে উত্তর দেখুন

১। 📚 পেশাগত শিক্ষা ২। 🏢 সুনির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্র ৩। ⚖️ নৈতিক আচরণবিধি ৪। 📜 সরকারি স্বীকৃতি ৫। 🧠 পেশাগত দক্ষতা ৬। 🤝 সামাজিক চাহিদা ৭। 🤝 পেশাগত সংগঠন ৮। 🔬 গবেষণার সুযোগ ৯। 📈 কর্মজীবনের ধারাবাহিকতা ১০। 🌍 আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ১১। ✨ বিশেষায়িত ভূমিকা ১২। 🏛️ আইনি কাঠামো ১৩। 👑 পেশাদারী মর্যাদা ১৪। 🎓 নিরন্তর শিক্ষা ১৫। 👥 দলগত কাজ ১৬। 📢 সক্রিয় ভূমিকা ১৭। 💡 জনগণের ক্ষমতায়ন।

প্রশ্নটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বাংলাদেশে সমাজকর্ম পেশার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে প্রথম সমাজকর্ম শিক্ষা শুরু হয়। পরে, ১৯৬২ সালে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগ নামে এটি স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সমাজসেবা অধিদপ্তর, যা দেশের সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে। ১৯৬১ সালে একটি জরিপে দেখা যায় যে, দেশের দারিদ্র্য ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে পেশাদার সমাজকর্মীর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের পর সমাজকর্মীদের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, যখন ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে তাদের পেশাদারী দক্ষতা ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত অসংখ্য সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি সমাজকর্ম পেশার গুরুত্বকে আরও জোরদার করেছে।

Tags: তুমি কি মনে করো বাংলাদেশে সমাজকর্ম একটি পেশাতুমি কি মনে করো বাংলাদেশে সমাজকর্ম একটি পেশা?
  • Previous “শিল্প বিপ্লব অবিমিশ্র আশীর্বাদ নয়” – উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
  • Next পেশা কি? পেশার বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর।
Read Aim

SUBSCRIBE


    JOB CIRCULAR

    • Media/Ads/Event Mngnt (145)
    • Medical/Pharmaceutical (123)
    • NGO/Organization (323)
    • Production/Operation (142)
    • Research/Consultancy (85)
    • Secretary/Receptionist (188)
    • Security/Support Service (99)
    • Others (59)

    LEARNING & EARNING

    • English Article
    • Bearded Dragon
    • Cats
    • Dogs
    • Guinea Pigs
    • Insurance
    • Lawyer
    • Rabbits
    • Earn Money Online
    • Others

    CATEGORIES

    • Computer (12)
    • DEGREE (4)
    • English Article (27)
    • GRAMMAR (138)
    • Health Tips (2)
    • Honours (987)
    • Jobs (16)
    • Jobs Study (33)
    • News (1158)
    • PDF BOOK (78)

    RECENT POST

    সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের গঠন লিখ।
    সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের গঠন লিখ।
    দ্বি-জাতি তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর।
    দ্বি-জাতি তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর।
    বাংলা নামের উৎপত্তি সম্পের্কে লেখ।
    বাংলা নামের উৎপত্তি সম্পের্কে লেখ।
    বাংলাদেশের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখ।
    বাংলাদেশের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখ।

    2025 All Rights Reserved readaim.com

    • Contact
    • About
    • Privacy
    • Blog
    • READ AIM