হরকত কাকে বলে ? হরকত কয়টি ও কী কী ? اَلْحَرَكَا تُ. বিস্তারিত আলোচনা কর।
- readaim.com
- 0
Go to Your Topic
Toggleহরকত / اَلْحَرَكَا تُ - (Sound Marks)
ধ্বনি চিহ্ন বা Sound Marks:- বাংলা ভাষায় যেমন আকার, একার থাকে। তেমনি আরবী ভাষার حَرَكَا تُ বা ধ্বনি চিহ্ন থাকে। কিন্ত্তু আরবী ভাষা উচ্চারণ বা পড়ার সময় حَرَكَا تُ ছাড়াও উচ্চারণ করা যায়। হরকতের উচ্চারন তারাতারি করিতে হয়। নিচে حَرَكَا تُ এর বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
*১. আর আরবী ভাষার উচ্চারণের ক্ষেত্রে আরবী বর্ণের উপরে ও নিচে কিছু বিশেষ কিছু চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমন- যবর, যের, পেশ ইত্যাদি। এগুলোকে حَرَكَا تُ বা ধ্বনি চিহ্ন বলা হয়।
*২. আরবি শব্দ উচ্চারণ করার জন্য যে স্বরচিহ্ন (Sound Marks) ব্যবহার করা হয় তাকে হরকত বলে ৷
*৩. এক বাক্যে জবর(া), যের(ে) ও পেশকে(ুূ) হরকত বলে ৷
উপরিউক্ত আলোচনার পর বলাযায় যে, আরাবী ভাষায় ব্যাবহৃত বর্ণ সমূহ যে সকল চিহ্নের সাহায্যে উচ্চারণ করা হয়, তাকে حَرَكَا تُ বলা হয়। যেমন:-যবর/فَتَحه, যের/كَسْرَة, পেশ/ضَمَّة.
আরবী ভাষায় حركة মূলত তিনটি।যথা-
- যবর:- যবর বর্ণের উপরে বসে। এর উচ্চারণ বাংলা অক্ষর আ বা া এর মতন হয়। যেমন- اَ بَ تَ ثَ جَ حَ خَ আ, বা, তা, ছা, যা, হা, খা ইত্যাদি।
- যের:- যের বর্ণের নিচে বসে।এর উচ্চারণ বাংলা বর্ণ ই বা ি কার এর মতন হয়। যেমন- اِ بِ تِ ثِ جِ حِ خِ ই, বি, তি, ছি, জি, হি, খি ইত্যাদি।
- পেশ:- পেশ বর্ণের উপরে বসে। এর উচ্চারণ উ বা ু এর মতন হয়। যেমন- اُ بُ تُ ثُ উ, বু, তু, ছু ইত্যাদ।
যে স্বর বা ধনি চিহ্ন দ্বারা শব্দের শেষের পরিবর্তন করা হয়, তাকে اِعْرَابْ বলা হয়। اِعْرَابْ তিনটি যথা-
- ১। رَفَعَ
- ২। نَصَبْ
- ৩। جَرْ
আরবী ভাষার হরকত সমূরের বিভিন্ন ব্যাবহার ও নাম রয়েছে। নিম্নে এর বিভিন্ন নাম ও ব্যাবহার সমূহ আলোচনা করা হল। যথা-
১।যবর/فَتَحْه ও পেশ/ضَمَّةْ:- এগুলো সর্বদা আরবী বর্ণের উপরে এবং যের/كَسْرَة সর্বদা আরবী বর্ণের নিচে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। উদাহরণ:- اَ بَ تَ ثَ جَ حَ خَ , بِ تِ ثِ جِ حِ خِ,اُ بُ تُ ثُ , ইত্যাদি।
২। سُكُوْنْ :- হরকত এর বিপরীত চিহ্নকে সুকুন বলে।যে চিহ্ন ব্যাবহার করলে বর্ণের উচ্চারণের কোন পরিবর্তন হয় না যা সাধারণত বাংলা অকরের হসন্তের মতন কাজ করে তাকে سُكُوْنْ বলা হয়। سُكُوْنْ যুক্ত হরকতটিকে ঠিক তার পূর্বের হরকত বিশিষ্ট حرف এর সাথে একবার মিলিয়ে পড়তে হবে।যেমন- اَسْ – اَبْ – عَىْنَ- كَيْفَ – اَنْ আস, আব, আইনা, কাইফযার উপর যবর থাকে।
৩।তানবীন/تَنْوِيْن :- তানবীন কখও শব্দের প্রথমে ব্যাবহৃত হয় تَنْوِيْن মূলত শব্দের শেষে ব্যাবহার হয়ে থাকে।আমরা সাধারণত সহজ ভাবে দুই যবর, দুই যের ও দুই পেশকে تَنْوِيْن বলে থাকি।যেমন- كَلَمٌ – كَلَمً – كَلَمٍ কালামুন, কালামান, কালামেন ইত্যাদি।
৪। تشد يد/তাশদীদ:- تشد يد মূলত حرفএর উপরে বসে এবং যুক্তাক্ষরের মতন কাজ করে।ইহা যবর যের ও পেশের সাথে যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয়।অথএব, একই উচ্চারণ বিশিষ্ঠ দুটি حرفকে একত্রে উচ্চারণ করাকে تشد يد বলা হয়। যেমন:- اِنَّ – اَللَّهُ – كَلَّ ইন্না, আল্লাহ, কাল্লা ইত্যাদি।
৫। مفتوح ঐ বর্ণকে বলাহয় যার উপর যবর থাকে।
৬।مضموم ঐ বর্ণকে বলে, যার উপর পেশ থাকে।
৭।مَكْسُور ঐ বর্ণকে বলে যার নিচে যের হয়।
৮।مُتَحَرِّك হরকত বিশিষ্ট হরফকে مُتَحَرِّك বলা হয়।
৯।مُنَوِّن তানবিন বিশিষ্ট حرف কে مُنَوِّن বলা হয়।
১০।سَ كِن বিশিষ্ট হরফকে سَ كِن বলা হয়।
هَمْزَةُ الْوَصْل-:- همزة হল হরকতযুক্ত- الف আর الْوَصْل অর্থ একত্রিত করা, মিলিয়ে নেওয়া ইত্যাদি। যে هَمْزَةُ কোন শব্দের সাকিনযুক্ত প্রথম অক্ষর উচ্চারণের স্বার্থে ব্যবহৃত হয় ও এমতবস্থায় পূর্বের কোন বাক্য বা শব্দের সাথে মিলিয়ে পড়লে অনুচ্চারিত হয়, তাকে هَمْزَةُ الْوَصْل বলাহয়।যথা:-اِذْهَبْ يَا زَيْدُ কিণ্তু যখন বলা হবে يَازَيْدُ اذْ هَبْ এক্ষেত্রে হামযাহ পড়ে গেছে এবং তা উচ্চারিত হয় নি।
هَمْزَةُ الْقَطْعِ:- যে হামযাহ সর্ব অবস্থায়ই স্থায়ী থাকে। অর্থাৎ, বাক্যের পূর্বে ব্যাবহৃত হোক অথবা পরে ব্যাবহৃত হোক, কোন অবস্থাই পড়ে যাবে না, তা অবশ্যই উচ্চারিত হবে।যথা-
اَقْبِل يَازَيْد এবং يَازَيْد اَقْبِلْ, اَكْرِمْ يَارَخُلُ থেকে اَكْرِمْ يَارَخُلُ ইত্যাদি।
الف الممدودة বা দীর্ঘ আলিফ:- যে আলিফের পর একই শব্দে হামযাহ্ হয় তাকে আলিফে মামদুদাহ বলা হয়।একে দীর্ঘ স্বরের মাধ্যমে উচ্চারণ করতে হয়। যেমন- حَمْرَآءُ
القصورة বা হ্রাস আলিফ:- এধরণের আলিফকে হ্রাস স্বরের মাধ্যমে উচ্চারণ করতে হয়।যেমন- عصل – موسى – عيسىইত্যাদি।
حَذَفْ(হাজাফ):- যেকোন ব্ণকে শব্দ বা বাক্য থেকে বাদদেওয়াকে حَذَفْ বলা হয়।
مَحْذُوْفُ (মাহযুফ):- শব্দ বাক্য থেকে যে বর্ণকে ফেলে দেওয়া হয়, তাকে মাহযূফ বলা হয়।
صِيْغَة(ছীগা):- শব্দ অথবা শব্দরূপকে صِيْغَة বলা হয়।
مُقَدَّر(মুকাদ্দার):- যে বর্ণ শব্দের মধ্যে থাকে না, কিন্তু অর্থের মধ্যে পাওয়া যায়, তাকে مُقَدَّر বলা হয়।
اَمْر(আমর):- আদেশসূচক فعل বা ক্রিয়াকে اَمْر বলা হয়।
نَهِىْ(নাহি):- নিষেধ সূচক فعل বা ক্রিয়াকে نَهِىْ বলা হয়।
مُثْبَتْ(মুছবাত):-হ্যাঁ বাচক শব্দকে مُثْبَتْ বলা হয়।
منفى(মানফি):- না বাচক শব্দকে منفى বলা হয়।
معروف(মা‘রূফ):- معروف বলা হয় এমন বিষয়কে, যে فعل এর ف عل জানা আছে।
مخحول(মাজহূল):- مخحول বলা হয় এমন বিষয়কে, যে فعل এর ف عل জানা নেই।
غاءـب(গায়েব):- নাম পুরুষ বা অনুপস্থিত ব্যাক্তি।
حاضر(হাযের):- মধ্যম পুরুষ বা উপস্থিত কর্তা।
متكلم(মুতাকাল্লিম):- উত্তম পুরুষ বাচক বা ব্যাক্তি স্বয়ং নিজে।
مذكر(মুযাক্কার):- পুংলিংগ/ পুরুষ বাচক শব্দকে مذكر বলা হয়।
مؤنث(মুয়ান্নাছ):- স্ত্রী লিঙ্গ বা স্ত্রীবাচক শব্দকে مؤنث বলা হয়।
بحث(বাহাছ):- অর্থ আলোচনা করে।
واحد(ওয়াহেধ):- একবচন বাচক শব্দ।
تثنية(তাছনিয়া):- দ্বিবচন বাচক শব্দ।
خمع(জমা):- শব্দটি যখন বহুবচন বাচক হয় তখন তাকে خمع বলা হয়।
مصدر(মাছদার):- ক্রিয়ার উৎপত্তি স্থলকে مصدر বলা হয়।
ضمير(যমীর):- ضمير অর্থ সর্বনাম। নামের পরিবর্তে ব্যাবহৃত শব্দকে ضمير বলা হয়।
فعل(ফেল)/ক্রিয়া:- বাক্যের মাঝে যে শব্দ দ্বারা ক্রিয়া বা কোন কাজ করা বুঝাই তাকে فعل বলা হয়।
مادة(মাদ্দাহ)/মূল অক্ষর:- মূল শব্দ বা শব্দের মূল অক্ষর গুলিকে مادة বলা হয়।
شخص পুরুষ:- শব্দের বিভিন্ন প্রকার রূপকে صيغة (ছীগাহ) বলে। রূপান্তরযোগ্য ক্রিয়াসমূহের ১৮টি صيغة হয়ে থাকে।আর প্রত্যেটি صيغة কোন না কোন شخص বা পুরুষের সাথে সংযুক্ত।শাখস/ شخص বা পুরুষ বলতে এমন শব্দকে যার মাধমে বাক্যের অন্তরগত বিভিন্ন শব্দের সম্বোধন এবং নাম ও সর্বনামের পরিচয় পওয়া যায়।
উদাহরণ:-هو-সে, آنت-তুমি, انا-আমি ইত্যাদি।